ভিপি নূরের উপর মামলা, সিলেটে বিক্ষোভ

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুর হক নূরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা ও হামলার প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় নগরের বন্দরবাজার থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে জিন্দাবাজার পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক নাজমুস সাকিবের সভাপতিত্বে ও বিভাগীয় সহ-সমন্বয়ক আব্দুল্লাহ আল মামুনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তরা বলেন, স্বৈরাচারী দুঃশাসনের বিপরীতে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ গণমানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যা ক্ষমতাসীন দলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্য ছিল প্রতিদিন নতুন সূর্যের সঙ্গে সুন্দর এক সকালের প্রত্যাশা যেখানে মানুষ দিন শেষে সন্ধ্যায় তার স্বপ্ন নিয়ে ঘরে ফিরতে পারবে।

কিন্তু এদেশের স্বৈরাচারী রাজনীতির কারণে প্রতিদিন আমার আপনার ভাই-বোনের রক্ত লাশের সংবাদ শুনে ঘুম ভাঙ্গে। ছাত্র অধিকার পরিষদের ইতিবাচক রাজনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশে যে পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখে তা স্তব্ধ করার জন্য সরকার মামলা হামলা দিয়ে জনগণের স্বপ্নের সঙ্গে বেইমানি করে চলেছে। যার ধারাবাহিকতায় গতকাল সোমবার ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, ভিপি নূরুল হক নূর সহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দেওয়া হয়েছে।

পথসভায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ শাবিপ্রবি শাখার সভাপতি রিপন মাহমুদ বলেন, সোমবার রাতে মিথ্যা মামলা তুলে নেওয়ার প্রতিবাদ ঢাকার মৎস ভবনের এলাকাতে ছাত্রদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ জঙ্গি কায়দায় রড, লাঠি, কাঠ দিয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদেও উপর হামলা করেছে। এতে সংগঠনের অর্ধশতাধিক নেতা কর্মী গুরুতর আহত হয়। পুলিশ তাদের গাড়িতে তুলে নিয়ে হয়রানি করেছে।

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক নাজমুস সাকিব বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকার ভিপিকে টাকা পয়সা দিয়ে কিনতে চাইছে পারে নি, হামলা করে ঘায়েল করতে পারে নি এখন চরিত্র কালিমা লেপন করে ঘায়েল করতে চায়।

তিনি বলেন, কোন ষড়যন্ত্রই ভিপি নূর তথা ছাত্র অধিকার পরিষদকে ঘায়েল করতে পারবে না।

বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদ সিলেট জেলার সদস্য আলী হোসেন, জহিরুল ইসলাম, বশির উদ্দিন, তারেক আহমেদ, তোফায়েল আহমদ, আক্তার হোসেন, মুস্তাক আহমদ, ফয়সাল আহমদ, লুৎফর রহমান, সাহাদত আহমদ, আব্দুল গাফ্ফার প্রমুখ।