সিলেট উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন করার দাবী আদায়ের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যে গঠন করা হয়েছে “সিলেট দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন বাস্তবায়ন কমিটি

সিলেট সিটি কর্পোরেশনকে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মতো দুই ভাগে বিভক্ত করে সিলেট উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন করার দাবী আদায়ের লক্ষ্যে যুক্তরাজ্যে গঠন করা হয়েছে “সিলেট দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন বাস্তবায়ন কমিটি ” এ ফোরামের দাবি হচ্ছে সিলেটের অত্যন্ত সম্ভাবনাময় জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা দক্ষিণ সুরমার সামগ্রিক উন্নয়ন ও ভবিষ্যত সম্ভাবনাগুলিকে কাজে লাগাতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনকে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মতো দুই ভাগে বিভক্ত করে ‘সিলেট উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন’ হিসেবে ঘোষণা আদায় করা। সম্প্রতি লন্ডনে দক্ষিণ সুরমার প্রবাসীরা এ লক্ষ্য আয়োজিত ভার্চুয়াল সভায় বলেন, বর্তমান সরকারের উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে তরান্বিত এবং বৃহৎ এ সিটি কর্পোরেশনের নাগরিক সুবিধা গতিশীল করতে দক্ষিণ সুরমার সবগুলো ইউনিয়নকে “সিলেট দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন” হিসেবে ঘোষণা এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবী । বর্তমান সরকার জনমানুষের প্রত্যাশা পূরণে প্রানপন প্রচেষ্টা যে ভাবে অব্যাহত রেখেছে ঠিক সে ভাবে আমাদের ন্যায্য দাবী পূরণকরে প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিণ-সুরমাবাসীর পাশে দাঁড়াবেন। বক্তারা সিলেট দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ঘোষণার প্রয়োজনীতা তুলে ধরে বলেন, বর্তমান সরকার স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী কাঠামোর উপর দাঁড় করে নিজস্ব রাজস্ব আহরণের মাধ্যমে স্বনির্ভরভাবে গড়ে তুলতে দেশকে নগরায়নে বদ্ধপরিকর। কিন্তু সম্প্রতি সিলেট জেলা প্রশাসন কর্তৃক জারিকৃত এক গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে, যা সরকারের চিন্তা-চেতনার সাথে মানানসই নয়। তারা বলেন, দক্ষিণ সুরমার সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা মনে করি আমাদের গোটা দক্ষিণ সুরমার ১০টি ইউনিয়নই শহরতলীর সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। অতএব ঐ ইউনিয়ন গুলোকে আলাদাভাবে সংযুক্তি প্রক্রিয়া না করে বরং গোটা দক্ষিণ সুরমা তথা এই এলাকাকে “সিলেট দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন” হিসেবে ঘোষণা করলে রাজস্ব প্রাপ্তিতে সরকারের চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়া তরান্বিত হওয়ার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার ভীষণ ২০৪০ বাস্তবায়নে এই অঞ্চলের মানুষ সরাসরি অংশ গ্রহণের সুযোগ পাবে। দ্রুত এ দাবী আদায়ের লক্ষ্যে লন্ডনের টাওয়ার হেমলেট্স কাউন্সিলের সাবেক স্পিকার ও সাবেক কাউন্সিলর খালেস উদ্দিন আহমেদকে সভাপতি ও সমাজসেবী নাসির উদ্দিনকে সেক্রেটারী করে একটি কমিঠি গঠন করা হয়। কমিটিতে অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন এ এস এম মিসবাহ, মুজিবুর রহমান, সেলিম আহমেদ, শাহ ইমরান,মুহাম্মদ সাবুল, জালাল করিম, এ আর বাবুল, জিয়াউল হক,লোকমান আহমেদ, আকমল হোসাইন, আব্দুল হক (আবু),আব্দুল মুক্তার (শাইস্তা), এনামুল হক, শফিউল আলম প্রমুখ। সভায় বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও শিক্ষাবিদ, ডেভলাপমেন্ট কাউন্সিল ফর বাংলাদেশী’জ ইন ইউকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলহাজ মনির হোসাইনকে প্রধান উপদেষ্টা ও বিশিষ্ট সমাজসেবী ও কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব আজিজ চৌধুরী, দিলওয়ার হোসাইন, , আক্তার নিজামী ও খন্দকার ইব্রাহীম আলীকে সদস্য করে উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হয়। জনগুরুত্বপূর্ণ এ দাবী আদায়ে উভয় কমিটিতে পর্যায়ক্রমে দক্ষিণসুরমার নাগরিকদের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত করা হয়।