আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল বলেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আজিজ আহমদ সেলিমের বিশেষ আবেগ ছিল। তিনি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতেন। আপাদমস্তক সৎ এই মানুষটি অনাড়ম্বর জীবন-যাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন আমাদের অহংকার-অলংকার। তিনি ধ্যান-ধারণায়ও কখনও কপটতার সুযোগ নেননি। সহজ-সরল এই মানুষটি আজ আমাদের মাঝে না থাকলেও তাঁর আদর্শ ও স্মৃতি আজীবন আমাদের মাঝে জাগ্রত থাকবে।’ গণমাধ্যম ও সমাজসেবামূলক সংগঠন সিলেট সেন্টার ফর ইনফরমেশন অ্যান্ড মাসমিডিয়া (সিফডিয়া) এর উদ্যোগে জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক-সংগঠক আজিজ আহমদ সেলিম স্মরণে আয়োজিত শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শনিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে নগরের জিন্দাবাজার এলাকার সিফডিয়া মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট জেলা ইউনিটের সাবেক জেলা কমান্ডার ও সিফডিয়ার উপদেষ্টা মির্জা জামাল পাশা। সভাপতির বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা মির্জা জামাল পাশা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সুলতান মনসুরসহ আমরা যে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম সেই প্রতিরোধেও আজিজ আহমদ সেলিমের সহযোগিতা আমরা পেয়েছি।’ সিফডিয়ার নির্বাহী পরিচালক রোটারিয়ান আবদুল মুহিত দিদারের সঞ্চালনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন, সিফডিয়ার চেয়ারম্যান অধ্যাপক শেখ আবদুর রশীদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহম্মদ বশিরুদ্দিন, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের সহসভাপতি সেলিম আউয়াল, আজিজ আহমদ সেলিমের ছোট ভাই জাবের আহমদ চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, কবি নাঈমা চৌধুরী। আলোচনায় অংশ নেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক জাবেদ আহমদ, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় শাখার সাবেক সভাপতি আবদুল বাতিন ফয়সল, সাইক্লোনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সাদেক লিপন, ছড়াকার কামরুল আলম, দৈনিক সুদিন সম্পাদক বাদশা গাজী, কলামিস্ট আবদুল মুঈদ চৌধুরী ফরহাদ, তাসলিমা খানম বীথি, আজিজ আহমদ সেলিমের মেয়ে সামিরা আজিজ। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন কবি কামাল আহমদ। আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত দোয়া মাহফিলে মোনাজাত করা হয়।
মন্তব্য