হবিগঞ্জের মাধবপুরে এক গ্রাহকের ৮০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এবি ব্যাংক মাধবপুর শাখার ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে থানার উপপরিদর্শক ফজলে রাব্বি ঢাকার মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে মঙ্গলবার এ.বি ব্যাংকের বর্তমান ব্যবস্থাপক লিয়াকত আলী খান বাদী হয়ে সাবেক ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হক ও শাখা অপারেশন ব্যবস্থাপক মহিবুর রহমান ও মুন্সি টাওয়ারের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল হাসিমকে আসামী করে মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ আগষ্ট আদিল হোসেন নামে এক গ্রাহক তার একাউন্টে ৮৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমা দেন। ২০১৬ সালে ১ নভেম্বর মোঃ আদিল হোসেন মাসিক ইনকাম ডিপোজিট স্কিমের আওতায় গরফং নং- ৩৫১৭৯৮৭ এবং গরফং নং ৩১১৭৯৮৮ এর মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকাও ওই স্কিমে জমা দেন। কিন্তু তৎকালীন ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হক ওই ৮০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না রেখে নিজের কাছে রেখে দেন এবং প্রতি মাসের মুনাফার টাকা ব্যবস্থাপক নিজের পকেট থেকে গ্রাহকে দিতে থাকেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালে ৮ নভেম্বর আদিল হোসেন ও তার ছেলে বেনু মিয়া মাসিক ইনকাম ডিপোজিট স্কিম ভাঙ্গানোর জন্য ব্যাংকে আসেন। কিন্তু দায়িত্বরত ব্যাংক কর্মকর্তারা ওই মাসিক ইনকাম ডিপোজিট স্কিম এর কোন অস্তিত্ত¡ই খোঁজে পাননি। কিন্তু ডিপোজিট স্কিম কাগজপত্রে দেখে বুঝা যায় আসল। সঙ্গে সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক লিয়াকত আলী খান জিজ্ঞাস করলে অপারেশন ম্যানেজার মহিবুর রহমান বিষয়টি স্বীকার করেন এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহমুদুল হক তা স্বীকার করে ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। এ বি ব্যাংক প্রধান শাখা থেকে গঠিত ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি পর্যালোচনা করে দেখেন যে ২০১৫ সালের ২৩ আগস্ট আদিল হোসেনের নামে এক গ্রাহক ৮৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমা দেন। ব্যবস্থাপক ৩০ আগস্ট ওই গ্রাহকের একাউন্ট থেকে বিনা চেকে মুন্সি টাওয়ারের মালিক আব্দুল হাসিমের মুন্সি এন্টারপ্রাইজের নামে একই ব্যাংকের একাউন্টে ৮৫ লাখ টাকা হস্তান্তর করেন। ২০১৬ সালের ১ নভেম্বর আদিল হোসেন এর একাউন্টে কোন লেনদেন হয়নি। এ ব্যাপারে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইকবাল হোসেন বলেন, সৈয়দ মাহমুদুল হককে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিস্তারিত জানা যাবে।
মন্তব্য