দেশে গত ছয় মাসে ‘সাদা’ হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটে নির্দিষ্ট হারে কর দিয়ে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুবিধা নিয়েছে এ পরিমাণ টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) মোট ৭ হাজার ৬৫০ জন এই সুযোগ নিয়েছেন। তারা ১০ হাজার ২২০ কোটি টাকার অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করায় সরকার মোট ৯৬২ কোটি ৬০ লাখ টাকা কর পেয়েছে। করোনা সংকটের মধ্যে চলতি অর্থবছরের বাজেটে অর্থনীতির মূল স্রোতে অর্থ প্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে আয়কর অধ্যাদেশে দুটি ধারা সংযোজন করে ঢালাওভাবে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়। সেই সুযোগ নিয়েই এই কালো টাকা সাদা করা হয়েছে, যাকে ‘অভূতপূর্ব’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এনবিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে। বলা হয়, অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও পুঁজিবাজারের উন্নয়নে চলতি অর্থবছর সরকার অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে বিশেষ সুযোগ দেয়। এ সুযোগে অভূতপূর্ব সাড়া দিয়েছেন করদাতারা। এর মধ্যে ২০৫ জন করদাতা ২২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অনুমোদিত সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করেছেন। আর ৭ হাজার ৪৪৫ জন করদাতা ৯৩৯ কোটি ৭৬ লাখ টাকা অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করেছেন। তাদের সবাইকেই নির্দিষ্ট হারে আয়কর দিতে হয়েছে। এই সুযোগ ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ আছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য