আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সিলেট সদর উপজেলার ৭নং মোগলগাঁও ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী পরিবারের সন্তান নজির আহমদ আজাদ নৌকার প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতাকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। এরই মধ্যে তিনি নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেতে জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ রেখে যাচ্ছেন। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী পরিবারের সন্তান হিসেবে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী। নজির আহমদ আজাদ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সমাজের উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন। এছাড়াও তিনি জয় বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্য জোট সিলেট মহানগরের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও সহ সভাপতি, ৭নং মোগলগাঁও ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সিনিয়র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি তিনি পশ্চিম সদর হাই স্কুল ও কলেজের ও আম্বরখানা হুরায়রা ম্যানশন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সিলেট জেলার সহ সভাপতি, হাব সিলেটের ভাইস চেয়ারম্যান, আটাব সিলেট জোনের যুগ্ম সম্পাদক, রোটারী ক্লাব অব মেট্রোপলিন সিলেটের সাবেক সভাপতি, আটাবের কেন্দ্রীয় সদস্য, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইট সিলেট ইউনিট, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, সিলেট বিভাগ উন্নয়ন পরিষদ, সিলেট ডায়াবেটিক সমিতির ও সিলেট ক্লাব লিমিডেটের আজীবন সদস্য হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট এসোসিয়েশন ও সিলেট চেম্বা অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সদস্য। তিনি শুধু নিজেই প্রতিষ্ঠিত নন, তিনি তার ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করতে নিরলসভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার বড় মেয়ে আতিয়া মাইশা মৌরী ইউকের মিডলসেক্স ইউনিভার্সিটির পিএইচডি গবেষক (সাইকোলজি) হিসেবে কাজ করছেন। ছেলে নাঈম ইশতিয়াক আবির ইউকের নর্থহামরিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স ইন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন। নজির আহমদ আজাদের পিতা মরহুম হাজী মোহাম্মদ এখলাছ মিয়াও সমাজের উন্নয়নের জন্য আমৃত্যু কাজ করে গেছেন। তিনি ৭নং মোগলগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতি ছিলেন। চাচা মরহুম হাজী আজমান আলী সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। আরেক চাচা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা খুর্শিদ আলী ৭নং মোগলগাঁও ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠা কালীন সহ সভাপতি, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও ৭নং মোগলগাঁও ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ চাচা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইফুল হোসেন ফটিক সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ছিলেন। মনোনয়ন প্রত্যাশি নজির আহমদ আজাদ জানান, করোনা মহামারিসহ বিভিন্ন দূর্যোগকালীণ সময়ে ১৯৯৬ হতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিভাবে সকল কর্মকান্ডের পাশাপাশি জন কল্যাণমূলক সমাজ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। প্রয়াত স্পিকার আলহাজ্ব হুমায়ুন রশিদ চৌধুরীকে বিজয়ী করতে অগ্রণী ভূমিকা সর্বজন বিদিত। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে. আব্দুল মোমেনকে ৭নং মোগলগাঁও ইউনিয়নের প্রত্যেক ভোট সেন্টারে বিজয়ী করার লক্ষ্যে আমি এবং আমার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ তথা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিকলীগ, তাঁতিলীগ, অঙ্গসহযোগী সংগঠনকে সাথে নিয়ে আমার ৭নং মোগলগাঁও ইউনিয়নের আপামর জনসাধারণের সর্বাত্মক সহযোগিতার মাধ্যমে বিরোধী দলের সাথে মোকাবেলা করে স্বাধীনতার প্রতীক নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি। সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আশফাক আহমদকে বিজয়ী করতে সিলেট সদর উপজেলার আওয়ামীলীগের প্রত্যেক নির্বাচনে আমি তথা আমার পরিবার, আমার ৭নং মোগলগাঁও ইউনিয়ন সর্বপরি একাত্ত্বতা পোষণ করে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হই। তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন সৈনিক। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের একজন সন্তান হিসেবে আমার লক্ষ্য, উদ্দেশ্য হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাদার অব হিউমিনিটি বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে আমৃত্যু পর্যন্ত কাজ করে যেতে চাই। নেত্রী ও দলের নির্দেশে মানুষদের পাশে আগেও ছিলাম, এখনও আছি। মানুষের সেবা তো করে যাচ্ছি। দলীয় মনোনয়ন চেয়েছি। আশা করছি মনোনয়ন পাব। তবে মনোনয়ন না পেলেও মানুষের সেবা করে যেতে চাই। বিজ্ঞপ্তি
মন্তব্য