কাজীটুলা আলোচিত গৃহবধু হত্যায় গ্রেপ্তার স্বামী ৫ দিনের রিমান্ড

সিলেট নগরীর কাজীটুলায় চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ সৈয়দা তামান্না বেগমকে হত্যা মামলার প্রধান আসামী ঘাতক স্বামী মো. আল মামুন কে ঢাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ।
চাঞ্চল্যকর এ হত্যার ৫মাস পর উন্নত প্রযুক্তির সহযোগীতায় আজ রোববার রাতে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
জানা যায়, এ ঘটনার পর থেকেই আসামীদের গ্রেফতার করতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আব্দুল মান্নান বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করেন। পরে আসামী বরিশাল অবস্থান করছে জানতে পেরে তাকে গ্রেফতার করতে তিনি ১৫দিন সেখানে অবস্থান করেন। সেখান থেকে মো. আল মামুন স্থান পরিবর্তন করে ঢাকায় আশ্রয় নেয়। উন্নত প্রযুক্তির সহযোগীতায় ৫মাস পর রোববার রাতে ঢাকার কদমতলী থানার মুরাদপুর মাদ্রাসা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
এরআগে গত বছরের ২৩ নভেম্বর দুপুরে নগরীর কাজীটুলার অন্তরঙ্গ ৪ নং বাসার তালাবদ্ধ কক্ষ থেকে গৃহবধূ তামান্নার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় মরদেহের গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী মামুন পালিয়ে যায়। পরে ওই রাতে নিহতের ভাই সৈয়দ আনোয়ার হোসেন রাজা বাদী হয়ে স্বামী মামুনসহ ৬জনকে আসামী কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মামুন ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন, এমরান, পারভীন, মাহবুব সরকার, বিলকিস ও শাহনাজ। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে একই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পারিবারিকভাবে ব্যবসায়ী আল মামুনের সাথে তামান্নার বিয়ে হয়। তিনি নগরীর জিন্দাবাজারস্থ আল-মারজান শপিং সেন্টারের ঐশি ফেব্রিক্স নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। আর তামান্না বেগম দক্ষিণ সুরমা উপজেলার লালাবাজার ইউনিয়নের ফুলদি গ্রামের বাসিন্দা। তবে মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার এমসি একাডেমি সংলগ্ন একটি বাসায় ভাড়ায় বসবাস করে আসছিলেন। তামান্নার সাথে বিয়ের আগেও আরেকটি বিয়ে করেছিলেন মামুন। মামুনের বিরুদ্ধে আগের স্ত্রীর দায়ের করা মামলাও রয়েছে। আগের স্ত্রীর ঘরে একটি সন্তানও রয়েছে তার।
আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি এস এম আবু ফরহাদ।