নবীগঞ্জ প্রতিনিধি:হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ওসি, এসআইকে কোপানো তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ছাত্রলীগ নেতা সোহান আহমেদ মুসাকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেও মুসার কোনো হদিস পাচ্ছে না পুলিশ।
সোহান আহমদ মুসা নবীগঞ্জ পৌর এলাকার সালামতপুর গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।
পুলিশ জানায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মুসাকে ধরতে নবীগঞ্জ শহরতলীর সালামতপুর এলাকায় অভিযান চালায় একদল পুলিশ। অভিযানকালে নবীগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) উত্তম কুমার দাশ এবং এসআই ফখরুজ্জামানকে কুপিয়ে পালিয়ে যান মুসা ও তার সহযোগীরা।
এ ঘটনায় নবীগঞ্জ থানার এসআই ফিরোজ আহমেদ বাদী হয়ে ১৫ জন আসামির নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতেই মুসার মা সামছুন্নাহার (৫০), বোন মৌসুমি আক্তার (২৬), শাম্মী আক্তার (২২), তন্নী আক্তারকে (১৯) গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়।
এরপর মুসার সহযোগী আহমদ হোসেন (২০), মুসার ভগ্নীপতি মামলার অন্যতম আসামি কামাল হোসেনকে (২৯) গ্রেফতার করে পুলিশ। সর্বশেষ শুক্রবার রাতে পুলিশের ওপর হামলা ঘটনার এজাহারভুক্ত আসামি সন্ত্রাসী মুসার একান্ত সহযোগী আলোচিত হেভেন হত্যা মামলার আসামি হাবিবুর রহমান কাশেমকে (২৭) গ্রেফতার করে পুলিশ।
নবীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন বলেন, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে এ পর্যন্ত মুসার মা-বোনসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আশা করি মুছাকেও দ্রুত গ্রেফতার করতে সক্ষম হব।
উল্লেখ্য, পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে আলোচনার শীর্ষে উঠে আসে ছাত্রলীগ নেতা সোহান আহমেদ মুসা। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, মাদক অপহরণসহ ৯টি মামলা চলমান থাকার পরও সে ছিল বেপরোয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছোটবেলায় সৎ ভাইকে হত্যার মধ্য দিয়ে অপরাধ জগতে যাত্রা শুরু হয় মুসার। তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগের ও ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতার সুপারিশের প্রক্ষিতে উপজেলা ছাত্রলীগের পদবি লাভ করেন মুসা।
২০১৩ সালে ছাত্রলীগ নেতা হেভেনকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। হেভেন হত্যায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে মুসাকে এজাহার ভুক্ত আসামি হিসেবে পুলিশ তালিকাভুক্ত করে। এরপর আওয়ামী লীগের জনৈক কয়েকজন শীর্ষ নেতার রাজনৈতিক মদদে বেপরোয়া হয়ে ওঠে মুসা।
মন্তব্য