স্ত্রী হত্যার দায়ে সিলেট কারাগারে স্বামীর ফাঁসি কার্যকর

ত্রী হত্যার দায়ে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে সিরাজুল ইসলাম সিরাজের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।  তিনি হবিগঞ্জের রাজনগর এলাকার মৃত আবুল হোসেনের  ছেলে। সিলেটের নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে রাতে ফাঁসি কার্যকর করা হয়। পরে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেটের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন।
তিনি জানান, ২০০৪ সালে তার স্ত্রী শাহিদা আক্তারকে শাবল ও ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেন সিরাজ। এরপর ২০০৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক তার ফাঁসি ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে সিরাজ হাইকোর্টে জেল আপিল করেন। পরে ডেথ রেফারেন্সের আলোকে ২০১২ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট সিরাজের জেল আপিল নিষ্পত্তি করে সিলেটের আদালতের রায়ই বহাল রাখেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে সিরাজ সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগেও জেল পিটিশন দাখিল করেন। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর রায়ে সিরাজের আপিল বাতিল করে ডেথ রেফারেন্সের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন।

এরপর সিরাজ প্রাণভিক্ষা চেয়ে আবেদন করলে এ বছরের ২৫ মে রাষ্ট্রপতি তা না মঞ্জুর করেন।
ফাঁসি কার্যকর করার আগে সিরাজের ইচ্ছে অনুযায়ী তার পরিবারের সাথে দেখা করার ব্যবস্থা করে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। ফাঁসির মঞ্চে ওঠার আগে সিরাজ খুব শান্ত ছিলেন। কারা রীতি অনুযায়ী ফাঁসির মঞ্চে তোলার আগে সিরাজকে গোসল করানো হয়। এরপর বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১৫ মিনিটে তওবা পড়ানো হয়।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মঞ্জুর আলম জানান, স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সিরজুল ইসলাম সিরাজের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত। প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করলে তার আবেদন মঞ্জুর হয়নি। বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় সিরাজের ফাঁসি কার্যকর হয়।