নন্দিত ডেস্ক:হবিগঞ্জের বানিয়াচং ৩ নং ইউনিয়নের অন্তর্গত একটি গ্রাম কালিদাসটেকা। বানিয়াচং-নবীগঞ্জ সড়কের পাশের এই গ্রামের একটি জরাজীর্ন ঘরে দুই সন্তানকে নিয়ে বসবাস করেন খোদেজা বিবি। খোদেজা বিবির দুই ছেলে, আলামিন মিয়া (২৫) ও আবুল মিয়া (৩০)। স্বামী হারা খোদেজা বিবির প্রাপ্ত বয়স্ক দুই ছেলে থাকলেও তারা দুইজনই মায়ের কাছে এখন বোঝা। আলামিনের একটি কিডনি বিকল। অপরটিও ঠিকমত কাজ করছে না। আর আবুল মিয়া শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। দুই অক্ষম ছেলেকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন এই বিধবা মা। মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। দেশে প্রতিবন্ধী ভাতা, বিধবা ভাতা ইত্যাদি চালু থাকলেও খোদেজা বিবি এসব থেকে বঞ্চিত। পাননি অন্য কোনো সরকারি সহায়তাও।
কান্নাজড়িত কন্ঠে খোদেজা বিবি বলেন, ছোট ছেলে আলামিনকে গর্ভে রেখেই মারা যান স্বামী আব্দুল হাসিম। এরপর থেকে প্রতিবন্ধী ও অসুস্থ ছেলেসহ নিজের আহার যোগাতে করতে হয়েছে কঠোর পরিশ্রম। ক্ষেত-খামারে কাজ করা থেকে শুরু করে মানুষের বাড়িতে কাজ করে কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে চলছিল সংসার। এখন আমি নিজেও অসুস্থ। কাজ করতে পারিনা।
ছোট ছেলে আলামিনের ১৫ বছর বয়সে তার একটি কিডনি বিকল হয়ে যায়। পরে ডাক্তারের পরামর্শে তার একটি কিডনী কেটে ফেলা হয়। ১০ বছর যাবত ছেলের চিকিৎসা এবং আহার যোগাতে কাজ করতে করতে তিনি এখন অক্ষম হয়ে পড়েছেন।
খোদেজা বিবি জানান, এলাকার চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে ধরনা দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে গেছেন তিনি। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার কপালে না জোটেছে বিধবা ভাতা, না জোটেছে ছেলের প্রতিবন্ধী ভাতা।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কিডনি বিকল ব্যক্তির জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন করলে নিয়ম অনুযায়ী তিনি সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করবেন। তাছাড়া, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিও আবেদন করলে সরকারি আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করবেন বলে জানান তিনি।
মন্তব্য