হবিগঞ্জ আ.লীগের ১০ বিদ্রোহীর নামে শোকজের চিঠি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে যারা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন তাদের নামে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করা শুরু হয়েছে। প্রথম দফায় ১৭৭ জনকে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রেরণ করা হয়। এর মাঝে হবিগঞ্জেরও কয়েকজন চিঠি পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে যারা বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তারাও রেহাই পাননি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন জানান, নির্বাচিত যারা হয়েছেন তাদের নামেও কারণ দর্শানোর নোটিশ ইস্যু করা হয়েছে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ করেছেন তারা। তাই কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। দশ দিনের ভিতরে সন্তোষজনক জবাব না দিলে অরো কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে। কাউকেই রেহাই দেওয়া হবে না। এদিকে বিগত নির্বাচনে হবিগঞ্জ জেলার নয়টি উপজেলায় ১০ জন বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। তারা হলেন- লাখাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুল আলম, জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য রফিক আহমেদ, হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সাধারণ সম্পাদক মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সেলিম চৌধুরী, বাহুবল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সহ সভাপতি আব্দুল কাদির চৌধুরী, বানিয়াচং উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান, আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আলা উদ্দিন, চুনারুঘাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের, শায়েস্তাগঞ্জে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলী আহমদ খান ও মাধবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা এহতেশামুল বর চৌধুরী লিপু। টেলিফোনে এ সকল বিদ্রোহী প্রার্থীদের বেশ কয়েকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেছেন- এখনও চিঠি পাননি। তবে দুয়েকজন পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তারা। বানিয়াচং উপজেলার বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান জানান, তিনি এখনও চিঠি পাননি। তবে দুয়েকজন চিঠি পেয়েছেন বলে জানতে পেরেছেন। চিঠি পাওয়ার পর যথাসময়েই জবাব দিবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। চুনারুঘাট উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের জানান, শুনেছি কেন্দ্র থেকে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও আমি পাইনি। চিঠি পেলে যথা সময়ে জবাব দেব। তবে শুনেছি কেউ কেউ নাকি চিঠি পেয়েছেন।