সব ঋণের কিস্তি ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করার দাবি

বাংলাদেশ ব্যাংকে বিজিএমইএর চিঠি

ব্যবসা বাণিজ্যে করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় দেওয়া প্রণোদনাসহ সব ঋণের কিস্তি আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করার দাবি জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পক্ষ থেকে ২২ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে তারা বলেছে, করোনার কারণে ব্যবসা বাণিজ্যের পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে রপ্তানির মূল্য এখনো সময় মতো আসছে না। এ ছাড়া ব্যবসায়ীদের কাছে তারল্য সংকট এখন প্রকট। ফলে ঋণের কিস্তি পরিশোধের সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ঋণের কিস্তি পরিশোধ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করার দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে যাতে কোনো ঋণকে খেলাপি করা না হয় সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে দাবি করা হয়েছে।

এদিকে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে ঋণের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে কোনো ঋণ খেলাপি না করার নীতি সীমিত পরিসরে চলতি আগস্ট পর্যন্ত বহাল আছে। তবে সবক্ষেত্রে এ ছাড় দেওয়া হয়নি। ব্যাংকের ক্ষেত্রে বকেয়া কিস্তির ২৫ শতাংশ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে বকেয়া কিস্তির কমপক্ষে ৫০ শতাংশ পরিশোধের বিধান করা হয়। ওই হারে কিস্তি পরিশোধিত না হলে সংশ্লিষ্ট ঋণ খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করতে হবে। আর পরিশোধ করা হলে খেলাপি করা যাবে না।

প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী আগস্টের পর যেসব ঋণের কিস্তি পরিশোধের কথা সেগুলো পরিশোধিত না হলে নির্ধারিত সময় পরে খেলাপি হিসাবে পরিণত হবে।

এদিকে উদ্যোক্তারা মনে করছেন তারা চলতি আগস্টের পর নির্ধারিত সময় অনুযায়ী কিস্তি পরিশোধ করতে সক্ষম হবেন না। ফলে খেলাপি হয়ে পড়বেন। এতে তারা নতুন ঋণ পাবেন না। কেননা, কোনো প্রতিষ্ঠান ঋণ খেলাপি হলে তারা আর নতুন ঋণ পায় না। আর নতুন ঋণ না পেলে ব্যবসা সচল রাখা কঠিন হয়ে পড়বে। এসব কারণে কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে কোনো ঋণকে খেলাপি না করার নীতি আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিক কর্মচারীদের বেতনভাতা পরিশোধে দেওয়া ঋণ পরিশোধের কিস্তি ১৮টি থেকে বাড়িয়ে ৩৬টি করার দাবি জানানো হয়েছে।

এদিকে প্রণোদনা বাবদ যেসব ঋণ দেওয়া হয়েছে সেগুলোর কিস্তি পরিশোধের সময় চলে এসেছে। সময়সীমা আর বাড়ানো না হলে কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে সংশ্লিষ্ট ঋণ খেলাপি করা হবে। এদিকে প্রণোদনা বাবদ যেসব ঋণ দেওয়া হয়েছে সেগুলোর কিস্তি পরিশোধের সময় চলে এসেছে। সময়সীমা আর বাড়ানো না হলে কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থতার কারণে সংশ্লিষ্ট ঋণ খেলাপি করা হবে।

এদিকে বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে তারা নিজেদের মধ্যে ও সরকারের বিভিন্ন স্তরে কথা বলছেন। অচিরেই এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে তারা মনে করছেন।