হবিগঞ্জের লাখাইয়ে হাওরে নববধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মিঠু মিয়া (২১) নামের এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মিঠু উপজেলার মোড়াকড়ি গ্রামের ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে।
শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার অপর দুই আসামি ছাত্রলীগ নেতা সোলায়মান রণি ও শুভ মিয়ার পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে উপজেলার মোড়াকড়ি গ্রামের ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া (২১), রাকু মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (১৯) এবং ইকবাল হোসেনের ছেলে সোলায়মান রনিকে (২২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার মিঠু মিয়া ইতোমধ্যে পুলিশের কাছে নিজের দোষ স্বীকার করেছেন। শুক্রবার বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন-২ আদালতে নববধূর স্বামী ৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
নববধূ স্বামী জানান, প্রায় মাসখানেক পূর্বে পারিবারিকভাবে তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের একদিনের মাথায় তিনি কাজের সুবাদে ঢাকায় চলে যান। কয়েকদিন আগে তিনি ফের বাড়ি ফিরেন। এরপর গত ২৫ আগস্ট দুপুরে তিনি তার স্ত্রী ও বন্ধুকে নিয়ে হাওরে নৌকা ভ্রমণে যান। ভ্রমণের এক পর্যায়ে একই গ্রামের মুছা মিয়া, সুজাত মিয়া, হৃদয় মিয়া, মিঠু মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া ও জুয়েল মিয়াসহ ৫/৬ জন যুবক নৌকাযোগে এসে তাদের গতিরোধ করে। পরে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে ও তার বন্ধুকে মারধোর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নববধূকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণকারীরা এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। পরে তারা ঘটনাটি কাউকে না জানাতে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এবং বিষয়টি জানাজানি হলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
তিনি আরও বলেন, বাড়িতে আসার পর বিষয়টি লোকলজ্জার ভয়ে ও ধর্ষণকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কাউকে জানাননি। তবুও গত কয়েকদিন থেকে লম্পটরা ওই ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। এক পর্যায়ে ভিডিওটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তারা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার সে তার স্ত্রীকে নিয়ে তিনি হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মন্তব্য