ভিডিও ধারণ করে টাকা দাবি, যুবক গ্রেফতার

বগুড়ার শেরপুরের এক গার্মেন্টকর্মীকে (২৬) প্রেমের ফাঁদে ফেলে তার নগ্ন ভিডিও ধারণ করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে মনির হোসেন (২৯) নামে এক প্রতারককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ডিবি পুলিশের সাইবার টিম মঙ্গলবার মধ্যরাতে তাকে ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুর বড়ারী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। বুধবার বিকালে মনির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোমিন হাসানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ওই নারী তার বিরুদ্ধে শেরপুর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। ডিবি পুলিশের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সাইহান ওলিউল্লাহ এ তথ্য দিয়েছেন।

পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, মনির হোসেন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার মহিষভাঙ্গা গ্রামের রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। সে ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরে একটি গার্মেন্টস কারখানার সিকিউরিটি গার্ড। বগুড়ার শেরপুরের স্বামীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়া এক সন্তানের জননী ওই কারখানায় শ্রমিকের কাজ করেন। গত এপ্রিলে মনির ওই নারীর মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে তার সঙ্গে মিথ্যা পরিচয়ে যোগাযোগ করে।

পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে কৌশলে ওই নারীর কাছ থেকে নগ্ন ভিডিও তোলে। এরপর ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখায়। ২০ হাজার টাকা দিলে ভিডিও ডিলিট করে দেবে বলে জানিয়ে দেয়। ওই নারী লোকলজ্জার ভয়ে আত্মহত্যার পরিকল্পনা করলেও সন্তানের জন্য ব্যর্থ হন।

বাধ্য হয়ে তিনি তিন দফায় সিকিউরিটি গার্ড মনির হোসেনকে আট হাজার টাকা দেন। পরবর্তীতে মনির আরও টাকা দাবি করলে তিনি বগুড়া ডিবি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন।

ডিবি পুলিশের এসআই মজিবর রহমান জানান, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারক মনিরের অবস্থান নিশ্চিত হন। মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরের বড়ারী এলাকার ভাড়া বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছে একটি স্মার্টফোন ও চারটি সিম পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে ওই নারী বুধবার সকালে শেরপুর থানায় তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। বগুড়া আনার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মনির অপরাধ স্বীকার করে। বিকালে তাকে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোমিন হাসানের আদালতে হাজির করলে স্বীকারোক্তিমূলক জবাববন্দি দেয়। পরে তাকে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।