‘আমাদের দেশের সবাই নির্বাচক’

দক্ষিণ এশিয়ার মানুষ ক্রিকেটপাগল জাতি হিসেবেই পরিচিত। বাংলাদেশের মানুষও তার ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেট ম্যাচের দিনে যেন এদেশের মানুষের এক উৎসব লেগে যায়। দল ভালো করলে তো ম্যাচ শেষে সেই উৎসবের মাত্রা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায়। তবে দল খারাপ করলেও হতাশায় তুমুল সমালোচনা করেন ভক্ত-সমর্থকরা। বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে নিজের বক্তব্য খুব সহজেই হাজারো মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। এই সহজলভ্যতার সুযোগে অনেকেই বুঝে কিংবা না বুঝে করেন ধ্বংসাত্মক সমালোচনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য বাংলাদেশ দল ও খেলোয়াড়দের ওপর কুপ্রভাব ফেলে বলে দাবি করেছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। দল নির্বাচন করে কাউকে সন্তুষ্ট করতে না পারার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রায় ১০ কোটি নির্বাচক, হয়তো তারচেয়ে বেশি আছে। আমি যদি সবার কথা চিন্তা করি তাহলে আমি আসলে দল নির্বাচন করতেই পারব না। তবে কাজটা যতদিন আমাদের আছে, আমাদেরই করতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আক্রমণ সবারই সমস্যা হয়। শুধু আমাদের না, দলেরও সমস্যা হয় এবং খেলোয়াড়রাও একটু হলেও এর খারাপ প্রভাব অনুভব করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে সমালোচনা হয় সেটা কারো হাতে নেই। এখানে সবাই সবার মত দিতে পারেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সুবিধাও এখানে, আবার সবচেয়ে বড় অসুবিধাও এটা। শুধু আমাদের না, খেলোয়াড়দেরও কিন্তু সমস্যা হয়। আপনি যতই চান, সবকিছু কিন্তু এড়িয়ে যাওয়া যায় না। দিনশেষে আমরা সবাই মানুষ। যখন বেশি ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়, তখন সবারই খারাপ লাগে, প্রভাব পড়ে খেলোয়াড়দের। দল নির্বাচনে দলের কোচ ও অধিনায়করাও ভূমিকা রাখেন বলে জানান বাশার। তার ভাষ্যমতে, ‘ দল নির্বাচনের আগে কোচের সাথে কথা হয়, অধিনায়কের সাথে কথা হয়। অনেক চিন্তাভাবনা করে, অনেক যুক্তিতর্কের পরে দল তৈরি হয়। প্রধান নির্বাচক সেই দলটাই সবার সামনে উপস্থাপন করেন।’