হবিগঞ্জ সদরের জে.কে এন্ড এইচ.কে হাইস্কুল ও কলেজ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাড়ে ৩২ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। সেই ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছেন প্রধান শিক্ষককে জাহাঙ্গীর আলম। তার সহযোগী হিসেবে রয়েছেন অফিস সহকারী আক্তার মিয়া। অভিযুক্ত দুজনকেই বহিস্কার করেছে স্কুল ব্যবস্থাপনা কমিটি। অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের গঠন করা তদন্ত কমিটি।
ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ২০১২ সালে সেখানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন জাহাঙ্গীর আলম। বছরখানেক পর থেকে স্কুলের আয়ের প্রধান উৎস অটোরিকশা স্ট্যান্ড ভাড়া, দোকান ভাড়া ও পুকুর লিজের টাকা আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ আসতে থাকে তার বিরুদ্ধে। অনিয়মিত হয়ে পড়ে শিক্ষক-কর্মচারিদের বেতন-ভাতা। ২০১৯ সালে শিক্ষক-কর্মচারিরা বিষয়টি পরিচালনা কমিটির কাছে লিখিতভাবে জানায়। কমিটি বিষয়টি তদন্তের জন্য সহকারী প্রধান শিক্ষক শাহ্ মোহাম্মদ আবুল হাসানকে প্রধান করে গঠন কওে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি। ওই কমিটি ২০১৮ ও ১৯ সালের ১৭ লাখ টাকা গড়মিলের সত্যতা পায়। এর হিসেব চাইলে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম।
পরবর্তীতে পরিচালনা কমিটির সভাপতি শহীদ উদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা প্রশাসককে জানান। নির্বাহী ম্যাজিস্টেট প্রতীক মন্ডলকে প্রধান করে জেলা প্রশাসন আবার তিন সদস্যের কমিটি করে। এই কমিটি তদন্ত করে ৩২ লাখ ৬৫ হাজার ৯৫৫ টাকা আত্মসাতে প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম ও অফিস সহকারি আক্তার মিয়ার জড়িত থাকার সত্যতা পায়। গত ২৬ অক্টোবর এই প্রতিবেদন জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সভা ডেকে গতকাল বৃহস্পতিবার জাহাঙ্গীর আলম ও আক্তার মিয়াকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানান সহকারি প্রধান শিক্ষক শাহ্ মোহাম্মদ আবুল হাসান।
প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর এই পদক্ষেপ নিতে ৪ মাস সময় লাগল কেন- তা জানতে চাইলে কমিটির সদস্যরা জানান, করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সীমিত ছিল বলে এতোদিন সভা ডাকা যায়নি। বরখাস্তের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘যে তদন্ত করা হয়েছে সেটি সঠিক হয়নি। কারণ যে পরিমাণ আয় দেখানো হয়েছে তা অতিরিক্ত। এই আয় থেকে স্কুলের বিভিন্ন খাতে ব্যায় করা হয়।
মন্তব্য