দেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে তেল আমদানির পাশাপাশি বাজারে সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরেই চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় তেল খালাসের নির্ধারিত ডলফিন জেটি ও রিভার মুরিং জেটিতে বিভিন্ন কোম্পানির তেল নিয়ে ভিড়ছে একের পর এক অয়েল ট্যাংকার।
এর মধ্যে তেল আমদানি ও বাজারজাতকারক প্রতিষ্ঠান সিটি গ্রুপেরই আমদানি করা ১০ হাজার মেট্রিক টন তেল খালাস করে ফিরে গেছে এমটি প্যাসিফিক রুবী নামের একটি অয়েল ট্যাংকার। আগামী ২০ মার্চ সিটি গ্রুপের জন্য ১৫ হাজার মেট্রিক টন তেল নিয়ে আসবে অপর জাহাজ এমটি পাইওনিয়ার।
এদিকে, চট্টগ্রাম বন্দরে বিভিন্ন কোম্পানির ভোজ্যতেলের আমদানি বাড়ায় বাজারেও তেলের সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়েছে কোম্পানিগুলো। বর্তমানে বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।
বাজারে ভোজ্যতেলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়া এবং দাম প্রসঙ্গে সিটি গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার বিশ্বজিৎ সাহা জানান, গতকাল (১৬ মার্চ) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পতেঙ্গা টার্মিনাল থেকে ২ লাখ ১৪ হাজার লিটার তেল ডেলিভারি দিয়েছে সিটি গ্রুপ।
তিনি বলেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে যেকোনো প্রতিষ্ঠান এখন মিল থেকেই তেল ডেলিভারি নিতে পারবেন। আপাতত তেলের সরবরাহ বাড়লেও তেলের দাম খুচরা পর্যায়ে কমছে না বলেও জানান সিটি গ্রুপের এই কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরপুল ও নিউমার্কেট এলাকার পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সরকারের নির্ধারিত মূল্যে এক লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৮ টাকা, দুই লিটার ৩৩৪ টাকা পাঁচ লিটার বিক্রি হচ্ছে ৭৯৫ টাকায়।
মন্তব্য