ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ইন্টারনেটের আওতায় আসছে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এর ফলে শিক্ষা খাতে নতুন দিগন্তের সূচনার পাশাপাশি ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে পাঠদান বিষয়ে যোগাযোগ বৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে। এছাড়া ছাত্রছাত্রীরা অনলাইনে ক্লাস করা এবং ইন্টারনেটের মাধ্যমে পাঠ্যবইসহ অন্যান্য বই পড়ার সুযোগ পাবে।
সরকারি প্রাথমিক স্কুলগুলোতে ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেকটিভিটি উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এ বিষয়ে কথা বলেন। রাজধানীর একটি হোটেলে মঙ্গলবার অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
জানা গেছে, দেশের ৬৫ হাজার ৯৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ওয়াইফাইয়ের আওতায় আসছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের স্মার্টফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। ইন্টারনেট ব্যবহার করে শিক্ষকরা অনলাইনে শ্রেণি কার্যক্রম চালাতে পারবেন। প্রতিটি বিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষককে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হবে।
শিক্ষার জন্য বরাদ্দকে সরকার ভবিষ্যতের বিনিয়োগ মনে করে উল্লেখ করে জাকির হোসেন বলেন, ‘আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীর বাংলাদেশকে সম্পদে ও সুনামে ভরিয়ে দেবে। প্রাথমিক বিদ্যািলয়ে ইন্টারনেট সেবা শিক্ষা খাতে নতুন দিগন্তের সূচনা করবে। ইন্টারনেট সেবার মাধ্যমে ব্ল্যান্ডেড এডুকেশন ফরমেটিভ অ্যাসিস্ট্যান্স ইত্যাদি কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম। এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আমিনুল ইসলাম খান, গ্রামীণফোন লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ইয়াছির আজমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য