হবিগঞ্জের মাধবপুরে চাকুরী দেয়ার নাম করে চট্রগ্রামের তরুণীকে নিয়ে এসে গণধর্ষণের ঘটনায় দুই ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৯। বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে র্যাব-৯ এর লেঃ কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান ও এএসপি আব্দুল্লাহ-আল-নোমানের নেতৃতে একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাধবপুর উপজেলার শাহজীবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল- মাধবপুর উপজেলার তাজপুর গ্রামের মৃত মধু মিয়ার পুত্র রফিক মিয়া (৩০) ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বড়চর গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার পুত্র মহিবুর রহমান ওরফে মামুন মিয়া (২৫)।
বিকেল ৫ টার দিকে একপ্রেস বিজ্ঞপ্তিতে লেঃ কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, আসামীরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কৃতকর্মের বিষয়টি র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে। তারা চট্রগ্রামের হাটহাজারী এলাকার ওই তরুণীকে চাকুরী দেয়ার প্রলোভন দিয়ে হবিগঞ্জের মাধবপুরে নিয়ে আসে। পরে একটি ভাড়া বাসায় আটকে রেখে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।
নাহিদ হাসান আরো জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা পক্রিয়াধীন রয়েছে এবং অন্যান্যদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। এর পুর্বে জীবিকার তাগিদে শাহপুর এলাকায় একটি কোম্পানিতে কাজের জন্য গত ২৫ মার্চ সন্ধায় সে মাবধপুর উপজেলার দরগাহ গেইট এলাকায় পৌছায়। এসময় একটি সিএনজি অটোরিক্সা করে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে একটি বাসায় আটকে রেখে চালানো হয় গণধর্ষণ। টানা ধর্ষণের ফলে ওই তরুণী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে (২৭ মার্চ) রবিবার বিকেলে তাকে ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে মুখ বেঁধে ফেলে চলে যায় ধর্ষকেরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।
মাধবপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) গোলাম কিবরিয়া হাসান জানান, ভোক্তভূগী ওই তরুণী নিজেই বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় মামলা দিয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
মন্তব্য