চলতি বছরের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা না নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) সচিবালয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ইঙ্গিত দেন। সম্প্রতি জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা কেন্দ্রীয়ভাবে না হওয়ার ইঙ্গত দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
আর শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য তিন থেকে চার মাস সময় লাগে। এসব বিবেচনায় প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা এবার না হওয়ার বিষয়টি জানান মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা। তবে সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী এও বলেন, ‘পরীক্ষার ২-৩ মাস আগে চূড়ান্ত ঘোষণা দেওয়া হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী একবারেই বাতিল করার চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে জাকির হোসেন বলেন, ‘আমাদের নতুন যে কারিকুলাম আছে, সেখানে পরীক্ষাটা নেই। আমরা শিক্ষাবিদসহ অংশীজনের মতামত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। প্রায় দুই বছর বিদ্যালয় বন্ধ ছিল। আমরা শিখন ঘাটতি পূরণে আর একটু সময় নিই। আমরা ঘাটতি পূরণ করে তারপর সিদ্ধান্ত জানাবো। সমাপনী পরীক্ষা নভেম্বরের দিকে হয়, আমরা ২-৩ মাস আগে জানাবো। এখনই জানালে কোচিং সেন্টার সব লাইন ধরবে।’
সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘বড়দের শিখন প্রক্রিয়া এবং ছোটদের শিখন প্রক্রিয়া ভিন্ন। এখনই জানিয়ে দিয়ে স্বাভাবিক প্রক্রিয়াটা ব্যাহত করতে চাই না। আমরা আর একটু সময় নিয়ে ঘোষণা দেবো। পরীক্ষাকেন্দ্রিক চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। আমরা আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা পাঠে ব্যস্ত থাকুক। তাদের টেনশনে ফেলতে চাই না। তারা শিখন যোগ্যতা যাতে অর্জন করতে পারে, সে জন্য পরীক্ষার টেনশন দিতে চাই না। ভবিষ্যতে এই সমাপনী পরীক্ষা থাকবে না।’
মন্তব্য