লক্ষ্মীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ভুয়া প্রশ্নপত্র দিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতার অভিযোগে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন প্রতারক চক্রের ৩ সদস্যসহ ১৩ জন।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান।
এর আগে, রামগঞ্জ ও সদর উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান জানান, দেশব্যাপী প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে লক্ষ্মীপুরে ২৩টি কেন্দ্রে ১৩ হাজার ১০৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন। এটাকে কেন্দ্র করে একটি চক্র রামগঞ্জ উপজেলার নন্দনপুর গ্রামের আমিররেন্নেছা ভবন থেকে প্রশ্নপত্র দেওয়ার নামে বিভিন্ন পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে চেকের মাধ্যমে ৮-১০ লাখ টাকা, সনদপত্র হাতিয়ে নেওয়ার গোপন সংবাদ পায় ডিবি পুলিশ। পরে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পুলিশ সুপার বলেন, সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে ওই ভবন থেকে মাহমুদুল হোসাইন, তার স্ত্রী শারমীন আক্তার, সুমি আক্তার, মোরশেদা জান্নাত রেবু, সুরাইয়া আক্তার, তানিয়া বাসার, তাসনিম আক্তার ও সারমিন আক্তারসহ ৮ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে উত্তরপত্র সম্বলিত ভুয়া প্রশ্নপত্র, বিভিন্ন ব্যাংকের খালি চেকের পাতা, শিক্ষা সনদের মূলকপি এবং ১২টি প্রবেশপত্র উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে মনজুর হোসেন, রহমত উল্লাহ, পারভেজ হোসেন, জহিরুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন সবুজকে আটক করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, প্রতারক চক্রের আরও সদস্যদের খুঁজছে পুলিশ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়াসহ প্রত্যেক অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ, সহকারী পুলিশ সুপার মিমতানুর রহমান, ডিআই ওয়ান আজিজুর রহমান মিয়া।
মন্তব্য