ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা জানালেন মিথিলা

অভিনেত্রী রাফিয়াদ রশীদ মিথিলা ব্র্যাকে চাকরি করেন। যার ফলে দেশ-বিদেশে ঘুরতে গিয়ে সুন্দর সুন্দর ছবি শেয়ার করেন। নেটিজেনরা সেসব ছবি দেখে হন মুগ্ধ। কিন্তু এর নেপথ্যে যে খুব ভালো অভিজ্ঞতা থাকে না, সে কথাই জানালেন এবার এ অভিনেত্রী। সোশ্যাল হ্যান্ডেলে মিথিলা লিখেছেন, আমি সাধারণত আমার অফিসিয়াল ট্রিপ থেকে সুন্দর ছবিগুলোই শেয়ার করি। আর তাই দেখে অনেকেই আহা-উহু করতে করতে বলে, ইশ আমারও যদি এ রকম একটা জব থাকতো। এই সুন্দর ছবির পেছনের অভিজ্ঞতাটা তাদের জন্য শেয়ার করছি। গত দুই সপ্তাহ আমি উগান্ডায় বিভিন্ন রকম ট্রেনিং, ওয়ার্কশপ, ফিল্ড ভিজিট শেষ করে ওয়েস্ট আফ্রিকার সিয়েরা লিওনে আসি এখানকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটা কর্মশালার আয়োজন করতে। আমার কর্মশালা ৯ই সেপ্টেম্বর শেষ হয় এবং পরদিন রাতেই আমার সিয়েরা লিওন থেকে কলকাতায় যাবার ফ্লাইট ছিল। বিকাল থেকেই প্রসিয়েরা লিওনের রাজধানী, ফ্রি টাউন, আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে এবং সিয়েরা লিওনের এয়ারপোর্টটা ফ্রি টাউন থেকে দূরে একটা বিচ্ছিন্ন জায়গায় অবস্থিত, যার নাম ‘লুঙ্গি’। ফ্রি টাউন থেকে এক ঘণ্টা একটা ছোট ফেরিতে আটলান্টিক পার হয়ে লুঙ্গি এয়ারপোর্টে যেতে হয়। ঝড়বৃষ্টির কারণে আমি একটু বেশিই চিন্তিত ছিলাম। আমার ফেরির টাইম ছিল রাত ২টায়। কিন্তু যত রাত বাড়ছে ততই ঝড়ও প্রকট আকার ধারণ করছে। শেষ পর্যন্ত ভয়ে ভয়ে রাত ১টায় টার্মিনালে গেলাম। লোকজন খুবই কম। মিথিলা লিখেন, রাত ২টায় যখন উঠে বসলাম তখন বোট ভীষণভাবে দুলছিল। তারপর মাঝ সমুদ্রে যাওয়ার পর দুলুনির সঙ্গে সঙ্গে মাথাটাও ঘুরতে শুরু করলো। বিশাল বিশাল পানির ঝাপ্টা আসছিল। মনে মনে বিভিন্ন ধরনের দোয়া পড়তে পড়তে ঘড়িতে সময় যেন এগোচ্ছিলই না! শেষ পর্যন্ত এক ঘণ্টাকে এক জীবন ভাবার আগ মুহূর্তে ফেরি ওপারে পৌঁছাল। ফেরি থেকে নেমে টার্মিনাল অব্দি বৃষ্টির মধ্যে দৌড়ে যেতে যেতেই কাকভেজা হয়ে গেলাম। তারপর একটা বাসে চড়ে লুঙ্গি এয়ারপোর্টে পৌঁছাতে বাজলো ভোর ৪টা। ইমিগ্রেশনের বহু কসরত শেষ করে প্লেনে উঠতে গিয়ে আরেকটু ভিজলাম। কারণ বাসে করে রানওয়ের কাছাকাছি গিয়ে প্লেনে ওঠার সময় অবশ্যবস্থা ছিল না।চণ্ড ঝড়বৃষ্টি।