স্বর্ণের দামে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এ অবস্থা কয়েক মাস ধরেই চলছে। তবে ডলারের দামের সঙ্গে স্বর্ণের দামের ওঠানামা অনেকে এক সূতায় মেলালেও বাস্তবে ততটা দেখা যায়নি। ডলার যাই হউক স্বর্ণের বিষয়ে সতর্কবার্তা জারি করেছে দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন-বাজুস।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাজুসের পাঠানো এক বার্তায় এ সতর্কীকরণ সংক্রান্ত আদেশ জারির কথা বলা হয়েছে।
বাজুসের দাবি দেশি-বিদেশি নতুন কিংবা পুরনো স্বর্ণালংকার ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কিছু সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে কেউ স্বর্ণ বিক্রি করলে অবশ্যই বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি দিতে হবে। একইসঙ্গে স্বর্ণর উৎস সম্পর্কেও বার্তা দিতে হবে দোকানিকে।
দেশের জুয়েলারি শিল্পে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, শৃঙ্খলা ও ব্যবসার মানোন্নয়নের স্বার্থে এবং ক্রেতা-বিক্রেতাদের সতর্কীকরণের উদ্যোগ হিসেবে এ সতর্কতা দেওয়া হয়। বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন অ্যান্টি স্মাগলিং অ্যান্ড ল এনফোর্সমেন্ট ‘স্বর্ণ ক্রয় সতর্কীকরণ নোটিশ’ জারি করে। এতে সব ধরনের স্বর্ণ ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতা ও বিক্রেতাকে সতর্ক করা হয়।
বাজুস জানায় একাধিকবার সতর্ক করা সত্ত্বেও কোনো কোনো ব্যবসায়ী পুরনো বা ব্যাগেজ রুলের স্বর্ণ ক্রয় করে নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।
এ জন্য বিক্রেতার পাসপোর্টের মূল কপি থেকে নিজ দায়িত্বে ফটোকপি করে রাখতে হবে। প্রকৃত মালিকের কাছ থেকে স্বর্ণ ক্রয় করতে হবে। বিক্রেতা যে দেশ থেকে স্বর্ণ নিয়ে এসেছেন, সেই দেশের এক্সিট ও এন্টির সিলসহ ভিসার কপি দেখাতে হবে।
বিক্রেতা যদি তথ্য দিতে ব্যর্থ হয় তাহলে বুঝতে হবে সেটা অবৈধ স্বর্ণ। তাই এ ধরনের বিক্রেতার কাছ থেকে স্বর্ণ ক্রয় করা থেকে বিরত থাকতে হবে বলে নির্দেশ দেয় বাজুস।
মন্তব্য