রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কোনোভাবেই সমাবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে এ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
গোলাম ফারুক হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, জননিরাপত্তা ও জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করেেই রাস্তার ওপর জনসভার অনুমতি দেওয়া হবে না। আইন ভঙ্গ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপি চাইলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা বড় কোনো মাঠে সমাবেশ করতে পারে।
তিনি বলেন, পল্টনের সামনে ১০ লাখ লোকের জায়গা হবে না। রাস্তায় লোক ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকবে না। এতে করে জনদুর্ভোগ ও জননিরাপত্তা বিবেচনায় পল্টনে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, আজকে কোনো সমাবেশ নাই, তবুও আজ উনারা (বিএনপি) জমায়েত হয়েছেন। তারা চাল, ডাল নিয়ে এখানে এসেছে। অফিসিয়াল একটি দিনে তারা রাস্তা বন্ধ করতে পারে না।
এদিকে বিকেল ৩টার দিকে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় মকবুল হোসেন (৪০) নামে একজন নিহত হয়েছেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া গণমাধ্যমকে জানান, নিহতের শরীরে শটগানের গুলির আঘাত ছিল।
এর আগে, এদিন দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিএনপি যে ঘোষণা দিচ্ছে পল্টনে বসেই তারা ভবিষ্যতে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। সেগুলো যদি কিছু হয়ে থাকে, তাহলে সরকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, ২০ থেকে ২৫ লাখ মানুষের সমাগম ঢাকায় সম্ভব না। বড় সমাবেশ হলে সোহরাওয়ার্দীতে হয়। কিন্তু বিএনপি কেন পল্টনে সমাবেশ করতে চায়, সেটিও খতিয়ে দেখতে হবে।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে মানুষের জানমাল রক্ষায় সরকার প্রয়োজনীয় সবকিছু করবে বলেও জানান মন্ত্রী।
তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, পুলিশ পুলিশের কাজ করবে, আমরা আমাদের কাজ করব। নয়াপল্টনেই সমাবেশ করব। তবে পুলিশ যেন দলীয় ভূমিকা পালন না করে।
বিএনপি কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা নয়াপল্টনে সমাবেশের কথা বলেছি। এখন বিকল্প দরকার হলে সরকারকে গ্রহণযোগ্য প্রস্তাব দিতে হবে।
মন্তব্য