রাজনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি প্রত্যাখান

মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটি প্রকাশিত হওয়ার ৪ দিন পর প্রত্যাখান করেছে দলের একাংশ। 

শনিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করে তারা নবগঠিত কমিটিতে জামাত-বিএনপির নেতাকর্মীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। 

নেতাকর্মীরা দাবি করেন- অগঠনতান্ত্রিক ভাবে ওই কমিটি গঠন করেছেন জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।

জানা যায়, দীর্ঘ ২৫ বছর পর বিগত ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যমে দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটির সভাপতি করা হয় মরহুম মিছবাহুদ্দোজা ভেলাই ও সাধারণ সম্পাদক করা হয় মিলন বখতকে। এদিকে ২০২০ সালের ২৪ মার্চ সভাপতি মৃত্যু বরণ করলে আলোর মুখ দেখেনি পূর্ণাঙ্গ কমিটি। উপজেলা আওয়ামী লীগকে একাই নেতৃত্বদেন সাধারণ সম্পাদক মিলন বখত। ৩ বছর পর বিগত ১৩ ডিসেম্বর ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা প্রকাশ করে জেলা আওয়ামী লীগ। প্রকাশিত প্যাডে তারিখ ছিল ২০২১ সালের ২৭ মে। কিন্তু একাংশের নেতাকর্মীরা এ কমিটি মেনে নেয়নি।

সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কমিটিতে স্থান পাওয়া অনেকেই পূর্বে বিএনপি, জামায়াত ও জাসদের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। 

প্রত্যাখানকারীরা বলছেন, অগঠনতান্ত্রিক ভাবে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত অনেক নেতাকর্মীকে পরিকল্পিতভাবে কমিটিতে রাখা হয়নি। 

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রাজনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য মো. শাহজাহান খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তি চক্রবর্তী, নিবারণ ঘোষ ভজন, ইউপি চেয়ারম্যান ও সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য টিপু খান, সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য সাদিকুর রহমান, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কায়েস আহমদ, সাইফুল আলম, আবু মিয়া, শওকতুজ্জামান, ফজর আলী, গোলাম কিবরিয়া মিলন, সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্য লুৎফুর রহমান লেবু, এম সোহেল আলম প্রমুখ।  

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান বলেন, যাছাইবাছাই করে দলের ত্যাগী নেতাদের কমিটিতে রাখা হয়েছে। যারা সংবাদ সম্মেলন করে ওই কমিটিকে প্রত্যাখান করেছে মূলত তারা নিজেরাই অগঠনতান্ত্রিকভাবে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছে।