মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের এমপি সাবেক চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর মন্ত্রী হওয়ার খবরে মৌলভীবাজার জেলাসহ তার নির্বাচনী এলাকায় বইছে আনন্দের বন্যা। এ খবরে একাধারে চলছে মিষ্টি বিতরণ
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় উপাধ্যক্ষ আব্দুস শহীদ বলেন, ‘এটা অত্যন্ত আবেগময় একটা মুহূর্ত। যখন আমাকে মন্ত্রিসভার বিষয়টি ফোনে জানানো হয়, তখন খুশিতে চোখে জল চলে আসে। দায়িত্ব নেয়ার পর আমার লক্ষ্য হবে প্রধানমন্ত্রী যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে মন্ত্রিসভায় জায়গা দিয়েছেন তা পূরণ করা।
উপাধ্যক্ষ ড. মো. আব্দুস শহীদ এমপি বলেন, ‘মন্ত্রিসভার পরবর্তী ভিশন হচ্ছে, আমাদেরকে যে মন্ত্রণালয় দেবেন তার যথাযথ নীতি এবং আদর্শ বাস্তবায়িত করার জন্য, জনগণের কাজ করার জন্য, যেটুকু নির্দেশনা দেবেন সেটুকু আমরা মন্ত্রিসভার সদস্য হিসেবে করবো। আর আমাদের রাজনৈতিক মেনিফেস্টো আছে। সেই মেনিফেস্টো অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যেটুকু আমাদের ওপর দায়িত্ব আছে আমরা অবশ্যই আমাদের ট্রামস অব রেফারেন্স প্লাস রুলস অব বিজনেস দেখে এগুবো।গত ৭ই জানুয়ারি নৌকা প্রতীকে আব্দুস শহীদ ২ লাখ ১২ হাজার ৪৯১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। বুধবার সকালে এমপি হিসাবে শপথ নেন তিনি। এর কয়েক ঘণ্টার মাথায় তিনি মন্ত্রিসভায় সদস্য হওয়ার সুখবর পান সিলেট বিভাগের বর্তমান সময়কার অন্যতম এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন।
উপাধ্যক্ষ ড. মো.আব্দুস শহীদ ১৯৭৩ সালে কমলগঞ্জ গণমহাবিদ্যালয়ে যোগদান করে শিক্ষকতা পেশা শুরু করেন। ১৯৯১ সালে তিনি মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি প্রার্থী হিসেবে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত হন।
এরপর ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮ ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে তিনি এ আসন থেকে জয়লাভ করেন। ১৯৯৬-২০০১ পর্যন্ত জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় হুইপ, ২০০১-২০০৬ পর্যন্ত সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ এবং ২০০৯-২০১৪ পর্যন্ত তিনি জাতীয় সংসদের সরকার দলীয় চিফ হুইপ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১০ম সংসদে তিনি সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ২০১৮-২০২৩ পর্যন্ত অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি সংসদ কমিটি, অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত, পিটিশন কমিটি ও কার্যপ্রণালী বিধি সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকারও তিনি সদস্য ছিলেন। তিনি আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডয়িাম সদস্য ছিলেন। তিনি সংসদের প্যানেল স্পিকার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন বঙ্গবন্ধু শিশু একাডেমি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির।
মন্তব্য