ড. মহানামব্রত ব্রহ্মচারীকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রদানের দাবী..

বৈষ্ণবাচার্য ড. মহানামব্রত ব্রহ্মচারী বৃত্তি-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৪ ডিসেম্বর শনিবার রাতে সিলেট নগরীর জামতলাস্থ মহানাম সেবক সংঘের উদ্যোগে শ্রীশ্রীপ্রভু জগদ্বন্ধুসুন্দর ধামে এই মহতী বৃত্তি প্রদান অনুুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মহানাম সেবক সংঘের সভাপতি ডা. সত্যরঞ্জন দেবের সভাপতিত্বে ও সহকারী অধ্যাপক নন্দ কিশোর রায়-এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতীয় হাই কমিশন সিলেট-এর মাননীয় সহকারী হাই কমিশনার শ্রীনিরাজ কুমার জায়সওয়াল। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রমের সভাপতি অধ্যাপক বিজিত কুমার দে, প্রথিতযশা শৈল্য চিকিৎসক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ডা. মৃগেন কুমার দাস চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক প্রফেসর নন্দলাল শর্মা, এমসি কলেজের অধ্যক্ষ (অব.) প্রফেসর পান্না রাণী রায়, উমেশ চন্দ্র নির্মলা বালা ছাত্রাবাসের সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ কৃষ্ণপদ সূত্রধর। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহানাম সেবক সংঘ শ্রীহট্টের সহ-সভাপতি, বিশিষ্ট লেখক প্রকৌশলী মনোজবিকাশ দেবরায়। অনুুষ্ঠানে বক্তারা প্রগতিশীল ও মানবতাবাদী দার্শনিক ড. মহানামব্রত ব্রহ্মচারীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে গেছেন। আজীবন তিনি মানবতার জয়গান গেয়েছেন। অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি এবং পরিশীলিত সমাজ গঠনে তিনি নিরলসভাবে কাজ করেছেন। তাঁর জীবনাদর্শ থেকে শিক্ষা নিয়ে উদার ও মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। ড. মহানামব্রত ব্রহ্মচারী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি প্রতিজ্ঞা করেন যে বাংলাদেশ স্বাধীন না হওয়া পর্যন্ত কোনও অন্ন গ্রহণ করবেন না। তাই তিনি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে নয় মাস কোনও অন্ন গ্রহণ করেননি, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে অন্ন গ্রহণ করেন এবং সেই সাথে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী উনার ফরিদপুর শ্রীঅঙ্গন ধামের ৮ জন ব্রহ্মচারী সাধুকে একসাথে গুলি করে হত্যা করে। এমন মহৎ প্রাণকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদক প্রদানের দাবি জানানো হয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্টজনদের নিকট। বৃত্তিপ্রাপ্ত ৩০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে থেকে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন ওসমানী মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী পল্লব দাস, দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ডিগ্রি ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সমীর রঞ্জন বিশ্বাস প্রমুখ। অনুুষ্ঠানের প্রারম্ভে মঙ্গলাচরণ ও গীতা পাঠ করেন শ্রীশ্রীপ্রভু জগদ্বন্ধুসুন্দর ধাম সিলেটের সেবাইত শ্রীমৎ বন্ধুপদ ব্রহ্মচারী ও সহ-সেবাইত শ্রীমৎ বন্ধু নিত্যানন্দ ব্রহ্মচারী। ২য় পর্বে বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী জলি দে-এর পরিচালনায় ও মহানাম সেবক সংঘ শ্রীহট্ট শিল্পীবৃন্দের অংশগ্রহণে বৈষ্ণবাচার্য ড. মহানামব্রত ব্রহ্মচারী মহারাজের দিব্য জীবনভিত্তিক গীতি আলেখ্য 'অমৃত সন্ধানী মহানাম' সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞপ্তি