ব্যাংক খাতের উল্লেখযোগ্য সংস্কারসহ সব ধরনের শর্ত প্রতিপালন হচ্ছে কিনা -তা খতিয়ে দেখতে ‘সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনের খসড়া চেয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। পাশাপাশি খেলাপি ঋণ নিয়ে সংস্থাটি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে জানতে চেয়েছে বর্তমান রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের সর্বশেষ অবস্থা। বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে সফররত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের বৈঠকে উঠে আসে এসব বিষয়। সেখানে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে একটি সমঝোতা স্বাক্ষর (এমওইউ) করার পরামর্শ দিয়েছে এ দাতাএকই দিন পৃথক বৈঠকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে আগামী বাজেটে কর অব্যাহতির অঙ্ক জানতে চেয়েছে আইএমএফ। পাশাপাশি কর-জিডিপি অনুপাত দশমিক ৫ শতাংশ বাড়াতে কর ব্যবস্থা সংস্কার ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর রূপরেখা চেয়েছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে উলিখিত সব তথ্য। এদিকে বুধবার সচিবালয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, এখন পর্যন্ত আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। তাদের সঙ্গে বসলে তারপর দেখা যাবে কি বলেন তারা।
সূত্রমতে, দুপুর সাড়ে ১২টায় আইএমএফ প্রতিনিধি দল বৈঠক করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্যাহর সঙ্গে। বৈঠকে আইএমএফ প্রতিনিধির সামনে ২০২২ সালের খেলাপি ঋণের একটি চিত্র তুলে ধরে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এতে দেখা গেছে, বিদায়ি বছরের (২০২২) ডিসেম্বরে দেশের ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। এটি মোট ঋণের ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। আগের বছরে (২০২১) ছিল ১ লাখ ৩ হাজার ২৭৩ হাজার কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। সার্বিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, তুলনামূলক ডিসেম্বরে খেলাপি ঋণ বেড়েছে সাড়ে ১৭ হাজার কোটি টাকা। এই চিত্র দেখে প্রতিনিধি দল কিছুটা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি বলেছে, কেন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী খেলাপি ঋণ নামিয়ে আনা যাচ্ছে না। তাদের উত্তরে বলা হয়, স্বাভাবিকভাবে লক্ষ্যমাত্রা প্রকৃত বাস্তব অবস্থা থেকে একটু বাড়িয়ে ধরা হয়। কারণ ব্যাংকগুলোকে চাপে রাখতেই এ কৌশল নেওয়া হচ্ছে। তবে খেলাপি ঋণ পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনা হবে।
সেখানে খেলাপি কমাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি এমওইউ করার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি। এর ব্যাখ্যা হিসাবে বৈঠকে উপস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি জানান, প্রতিটি ব্যাংকের সঙ্গে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের পৃথক ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’ হচ্ছে। প্রতিবছরই খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার জন্য ব্যাংকগুলোতে পৃথকভাবে টার্গেট দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি আইন-২০২০ গঠন করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে একটি খসড়া প্রণয়ন করে সংশ্লিষ্টদের মতামত নেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে খেলাপি ঋণ আরও কমবে।
সূত্র আরও জানায়, ওই বৈঠকে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য সম্প্রতি কোনো সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে কিনা এবং আগামীতে সংস্কারের পরিকল্পনা কি জানতে চাওয়া হয়। এছাড়া আইএমএফ’র আর্থিক খাতের শর্ত অনুযায়ী আইনগুলোর সংশোধন ও বাস্তবায়ন অবস্থা এবং ব্যাসেল স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী খেলাপি ঋণ ও মূলধন ঘাটতি নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও জানতে চেয়েছে সংস্থাটি।
জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, শুরু থেকে আমি বলছি খেলাপি ঋণ কমানোর জন্য কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। খেলাপিদের সঙ্গে রাজনৈতিক সংযোগ রয়েছে। এক ব্যাংকের পরিচালক অন্য ব্যাংকের পরিচালকের সঙ্গে যোগসাজশ করে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করছে না। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে খেলাপি কমবে না। এছাড়া অর্থ ঋণ আদালত কোনো ব্যবস্থা নিলে উচ্চ আদালত থেকে স্টে অর্ডার নিয়ে কিয়ামত পর্যন্ত চালাতে থাকে। এজন্য এখন অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও আইন মন্ত্রণালয় সম্মিলিতভাবে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করে আইনের জটিলতাগুলো কিভাবে কাটানো যায় সে উদ্যোগ নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, আইএমএফ বলা ও না বলার বিষয় নয়, খেলাপি ঋণ কমাতে হবে। যেহেতু সংস্থাটি বলেছে এখন আরও শক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে এক্ষেত্রে মূল দায়িত্ব ব্যাংকগুলোর। প্রয়োজনে খেলাপি হওয়া যাদের অভ্যাস তাদের নিয়ে ব্যাংকগুলো আলাদা বসতে পারে কেস টু কেস ভিত্তিতে।
সূত্রমতে, বৈঠকে সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইনের খসড়া চেয়েছে আইএমএফ। তারা জানতে চেয়েছে ব্যাংক খাত সংস্কার, নীতি সংস্কার, খেলাপি ঋণ কমানোর উদ্যোগসহ সব ধরনের শর্তের প্রতিফলন আইনে ঘটছে কিনা। উত্তরে বলা হয়েছে, আইনটি জুনে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পাশের জন্য বিল আকারে উত্থাপন করা হবে। পাশ হওয়ার পর এটি পাবলিক ডকুমেন্ট হিসাবে যে কেউ ব্যবহার ও দেখতে পারবে। ওই সময়ের আগে এই খসড়া দেওয়া যাচ্ছে না। তবে খসড়া আইনে আইএমএফ’র অধিকাংশ শর্ত পূরণে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
২৭ মার্চ মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে চ‚ড়ান্ত অনুমোদন পায় সংশোধিত ব্যাংক কোম্পানি আইন-২০২১ খসড়া। সেখানে বলা হয়, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিরা রাষ্ট্রীয় কোনো সম্মাননা ও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আর গাড়ি-বাড়ি, জমি রেজিস্ট্রেশন এবং বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকবে। যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলো অধিদপ্তর থেকে কোম্পানির নিবন্ধন এবং ট্রেড লাইসেন্স নিতে পারবে না। এছাড়া সামাজিক, পেশাজীবী, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক সংগঠনের কোনো পদে থাকতে পারবেন না। কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হতে পারবেন না। খসড়াতে আরও বলা হয়, কোনো ব্যাংকের পর্ষদে পরিচালক হিসাবে অন্য কোনো ব্যাংকের পরিচালক নিযুক্ত হতে পারবেন না। তবে এটি রাষ্ট্রায়াত্ব ব্যাংকের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে বৈঠক : আইএমএফ শর্ত দিয়েছে আগামী অর্থবছরের বাজেটে কর-জিডিপি অনুপাত দশমিক ৫ শতাংশ বাড়াতে হবে। এ শর্ত পূরণে জানতে চেয়েছে কর ব্যবস্থা সংস্কার, অব্যাহতি হ্রাস ও রাজস্ব আয় বাড়ানোর রূপরেখা। এর উত্তরে এনবিআর বলেছে, আগামী বাজেটে সংস্কারমূলক পদক্ষেপ থাকবে। সুনির্দিষ্ট পরামর্শ থাকলে আইএমএফকে লিখিতভাবে জানাতে বলেছে। সেগুলো বিশ্লেষণের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আগারগাঁওয়ে এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে আয়কর, ভ্যাট ও কাস্টমস বিভাগের সঙ্গে পৃথক তিনটি বৈঠক হয়। এনবিআরের আয়কর নীতির সদস্য ড. সামসউদ্দিন আহমেদ, মূসক নীতির সদস্য জাকিয়া সুলতানা ও কাস্টমস নীতির সদস্য মাসুদ সাদিকসহ সংস্থাটির প্রথম সচিব ও দ্বিতীয় সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র জানায় -আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক উইং পৃথকভাবে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর পদক্ষেপগুলো আইএমএফকে অবহিত করা হয়েছে। এ সময় সংস্থাটি জানতে চায় আগামী বছর কি পরিমাণ কর অব্যাহতি হতে পারে। তবে তৎক্ষণাৎ এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। কারণ এগুলো বাজেটের গোপনীয়তার অংশ। এছাড়া ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি), অটোমেশনসহ বিভিন্ন বিষয়ে অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বলা হয়, ভ্যাট আদায় বাড়াতে এনবিআর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং প্রবৃদ্ধিও ঊর্ধ্বমুখী। আর অটোমেশনের কাজও দ্রুততার সঙ্গেই এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
আয়কর বিভাগের সঙ্গে বৈঠকে কিভাবে করজাল বাড়ানোর ক্ষেত্রে এনবিআর কাজ করছে তা জানতে চায় সংস্থাটি। সেখানে এনবিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়, কোন খাতে কত কর ছাড় আছে, কোন খাত যেতে পারে, তা নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। কর জাল বাড়াতে বাড়িওয়ালা, পেশাজীবী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের সদস্য, গাড়ির মালিক, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগকারীদের ওপর নজর বাড়িয়ে বাড়তি লক্ষ্য অর্জন করা হবে। এজন্য সিটি করপোরেশন এবং বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই করা হয়েছে।
এনবিআরের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, আইএমএফ’র শর্ত মেনে আগামী অর্থবছরে বাড়তি ৩০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করতে হবে। এজন্য আগামী অর্থবছরে এনবিআরকে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্য দেওয়া হয়েছে, যা এ বছরের লক্ষ্য থেকে ১৬ শতাংশ বেশি। কিন্তু চলতি বছরে রাজস্ব আদায়ে যদি ৩০ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি হয়, তাহলে আগামী অর্থবছরের লক্ষ্য অর্জনে এখনকার তুলনায় ২৫ শতাংশের বেশি শুল্ক-কর আদায় করতে হবে।
শর্ত অনুযায়ী কর-জিডিপি অনুপাত দশমিক ৫ শতাংশ বাড়াতে এনবিআর একটি কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে। এতে দেখা গেছে, শুল্ক খাতে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায়ে শুল্ক অব্যাহতির অঙ্ক কমিয়ে আনা, শুল্ক হার পুনর্বিন্যাস, বকেয়া শুল্ক আদায় কার্যক্রম জোরদার, আদালতে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি, নতুন শুল্ক আইন প্রণয়ন, শুল্ক আদায় প্রক্রিয়া অটোমেশন এবং কাস্টমস রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কার্যকর করা হবে। আয়কর খাতে কর হার বাড়ানো, কর জাল সম্প্রসারণ, প্রাতিষ্ঠানিক করদাতাদের অডিট কার্যক্রম শক্তিশালী করতে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) চালু, কর অঞ্চল সম্প্রসারণে কর আদায় বাড়ানো হবে। ভ্যাট খাতে আদায় বাড়াতে অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতকে ভ্যাটের আওতায় আনা, খুচরা পর্যায়ে ফাঁকি বন্ধে ইএফডি মেশিন স্থাপন, ভ্যাট অব্যাহতির পরিমাণ ব্যাপকভাবে হ্রাস, ভ্যাট হারও পুনর্বিন্যাস এবং জাল বৃদ্ধিতে নতুন ৫টি ভ্যাট কমিশনারেট আগামী বছরের মধ্যে স্থাপন করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক : ঢাকা সফররত আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) মিশন দ্বিতীয় দিনের মতো বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সরকারি ব্যাংকগুলোর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে সরকারি ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি কীভাবে মেটানো হবে সে বিষয়ে জানতে চেয়েছে আইএমএফ। জবাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, ব্যাংকগুলোর ঋণ বাড়ানোর মাধ্যমে খেলাপি ঋণ কমানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খেলাপি ঋণ কমে গেলে ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতিও কমে যাবে। এছাড়া সম্পদের গুণগত মান বাড়িয়েও মূলধন ঘাটতি কমানো হবে। কিছু ক্ষেত্রে নতুন মূলধনের জোগান দেওয়া হবে। এ জন্য সরকারের কাছে বন্ড ছাড়ার অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। বন্ড ছাড়া হলেই ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি কমে যাবে। এছাড়া সরকার থেকেও বাজেটের মাধ্যমে সরকারি ব্যাংকগুলোকে মূলধনের জোগান দেওয়া হয়। এভাবে ঘাটতি মিটে যাবে।
ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ কমানোর পদক্ষেপ সম্পর্কে বৈঠকে জানতে চেয়েছে আইএমএফ। জবাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, খেলাপি ঋণ কমাতে পরিকল্পনা দেওয়া হয়েছে। এগুলো প্রয়োগ করা শুরু হয়েছে। এর ফলে ইতোমধ্যেই খেলাপি ঋণ কিছুটা কমেছে। ভবিষ্যতে আরও কমে যাবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এছাড়া ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধন, ব্যাংক তদারকির প্রক্রিয়া আধুনিকায়নসহ ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয্থাটি।
মন্তব্য