কোনো প্রকার সহিংসতা ছাড়াই শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। সকালে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা কমতে থাকে। এছাড়া নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুনের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাল ভোট দিতে গিয়ে আটক হয়েছেন এক নৌকার সমর্থক। অনিয়মের জন্য আটক করা হয়েছে আরও দু’জনকে।
সরেজমিন দেখা যায়, সকালে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এসময় সব প্রার্থীই ভোটের পরিবেশ নিয়ে নিজেদের সন্তুষ্টির কথা জানান। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছু অনিয়মের অভিযোগ আসতে থাকে। বিশেষ করে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নৌকা ও ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখার এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনো এজেন্টকে থাকতে দেয়া হয়নি। এসময় অনেক ভোটকেন্দ্র ফাঁকা দেখা যায়।
কিন্তু কেন্দ্রগুলোর বাইরে প্রার্থীদের সমর্থকদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বেলা ২টার দিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অন্তত ২০টি কেন্দ্রে ১০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম যথাযথভাবে কাজ না করার খবর পাওয়া গেছে। তাই ভোট গ্রহণেও বিলম্ব হয়।
এদিকে সকালে নিজেদের ভোট প্রদান শেষে আওয়ামী লীগ সমর্থিত নৌকার প্রার্থী এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান ও স্বতন্ত্র টেবিল ঘড়ি প্রতীকের জায়েদা খাতুন দুইজনই নির্বাচনে বিজয়ী হবেন বলে গণমাধ্যমকে জানান। এসময় জায়েদা খাতুনের ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইভিএম টেম্পারিং ও কোনো ধরণের কারচুপি হলে গাজীপুরের বাসিন্দাসহ দেশবাসী ফলাফল মেনে নেবে না।
মন্তব্য