জামালগঞ্জের সীমানা বিরোধ নিয়ে নারী খুন, আটক- ১

সুনামগেঞ্জর জামালগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে খুন হয়েছেন এক নারী। 

উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামে বাড়ির সীমানা নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে আপন চাচা ও চাচাতো ভাইয়ের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দু’সন্তানের জননী (তাদের ভাতিজি) খুনের শিকার হন।

নিহতের নাম জেসমিন বেগম (৩৫)। তিনি মল্লিকপুর গ্রামের মৃত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী।

এ ঘটনায় জামালগঞ্জ থানা পুলিশ খবর পেয়ে ঘাতক চাচা মাহমুদ আলীকে আটক করেছে বলে জানা গেছে। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুরে বাড়ির সীমানা নিয়ে আপন চাচা মাহমুদ আলী ও চাচাতো ভাই আশিকুল ইসলামের সাথে জেসমিন বেগমের কথা কাটাকাটি হয়। 

এরই জের ধরে চাচা ও চাচাতো ভাই উত্তেজিত হয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে জেসমিন বেগমের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করলে তিনি রক্তাক্ত হয়ে গুরুতর আহত হন।

এ ঘটনায় চিৎকার ও চেচামেচি শোনে তাৎক্ষনিক আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে রাস্তায় তিনি মারা যান বলে জানা গেছে।

নিহত জেসমিনের দুটি সন্তান রয়েছে। এ ঘটনার খবর পেয়ে জামালগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাৎক্ষণিক মাহমুদ আলী নামে একজনকে আটক করে। 

এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর মোহাম্মদ আব্দুন নাসের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাহমুদ আলীকে আটক করা হয়েছে। তিনি অসুস্থ। সেজন্য পুলিশ হেফাজতে আটক মাহমুদ আলীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

বাকিরা ঘটনার পরপরই পালিয়ে গিয়েছে। তবে তাদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।