সিলেট বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন ছাতক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পুলিন চন্দ্র রায়। জানা যায়, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে সিলেট বিভাগের ৪ জেলার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের মধ্যে প্রতিযোগিতামূলক যাচাই-বাছাই করে পুলিন চন্দ্র রায়কে শ্রেষ্ঠ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নির্বাচিত করা হযগতকাল সোমবার (২৮ মে) সিলেট বিভাগীয় কমিশনার এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সিলেট অঞ্চলের পরিচালকের যৌথ স্বাক্ষরিত পত্রে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি ২০১৬ সালে সিলেট জেলার এবং ২০১৯ ও ২০২২ সালে সুনামগঞ্জ জেলার শ্রেষ্ঠ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নির্বাচিত হয়েছিলবিশিষ্ট কবি ও লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদক পুলিন রায়ের এ পর্যন্ত সাতটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে কবিতার চারটি ও গদ্যগ্রন্থ তিনটি। সুপরিচিত সাহিত্য সংগঠক পুলিন রায় সিলেট সাহিত্য পরিষদ, অমিয় সাহিত্য পরিষদ ও লোকচর্যা, সিলেটের সভাপতি। ১৯৯০ সাল থেকে তেত্রিশ বছর যাবৎ পুলিন রায় সম্পাদনা করছেন বাংলা ভাষার স্বনামখ্যাত লিটল ম্যাগাজিন 'ভাস্কর'। কবি দিলওয়ার সংখ্যা ভাস্কর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে রেফারেন্স পাঠ্যপুলিন রায় ইতোমধ্যে ইতোমধ্যে যে সব সম্মাননা/পুরস্কার পেয়েছেন সেগুলো হচ্ছে : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের 'চিহ্ন সম্মাননা '(২০১১), 'উৎস লেখক সম্মাননা', ঢাকা (২০১৫), 'সমুজ্জ্বল সুবাতাস সম্মাননা', বান্দরবান (২০১৭) 'মাকুন্দা সাহিত্য পদক', সিলেট (২০১৯), 'কোরাস সাহিত্য সম্মাননা' মৌলভীবাজার (২০১৯), সমধারা সম্মাননা, ঢাকা (২০১৯), 'স্বপ্ন কথা' কলকাতা (২০২৩), 'স্রোত সম্মাননা', আগরতলা (২০২৩) এবং 'স্বজন সম্মাননা', কলকাতা (২০২৩তুখোড় জীবনসংগ্রামী পুলিন রায়ের জন্ম ১৯৬৬ সােেলর ১ জুন। গ্রামের বাড়ি সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের লক্ষীপ্রসাদ। ুুতিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে বিএ (অনার্স) ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি দীর্ঘদিন দৈনিক সিলেটের ডাক-এর স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে সাংবাদিকতা করেন। কিছুদিন সিলেট শহরের শাহ খুররম কলেজে বাংলার শিক্ষক ছিলেন। ১৯৯৪ সাল থেকে সরকারের প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা হিসাবে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে কর্মরত আছেন। বর্তমানে সিলেট নগরীর টিলাগড়স্থ গোপালটিলায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। তিনি দুই সন্তান অনিমেষ রায় পিয়াস (২৩) ও অনিরুদ্ধ রায় পরাগের (১২) জনক। তাঁর সহধর্মিণী রঞ্জু রানী রায় অবসরপ্রাপ্ত (স্বেচ্ছায়) শিক্ষক।
মন্তব্য