বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের ওপর হামলাকারীকে গ্রেফতার করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান।
এদিন সকাল থেকে নির্বাচন ভবনে খুলনা ও বরিশাল সিটি ভোট সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন।
বরিশালের ঘটনায় প্রশ্ন করা হলে আহসান হাবিব খান বলেন, বরিশালের পরিবেশ দেখলাম খুব ভালো ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে এটা আকস্মিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। এটা কাঙ্ক্ষিত ছিল না। প্রথমে দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেফতার ও পরে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে অন্যায় করেছে তাকে শাস্তি পেতেই হবে।
তিনি বলেন, সিসিটিভি ফুটেজ থেকে যা পাচ্ছি আমরা অনেক হ্যাপি। সার্বিকভাবে ভোটের অবস্থা ভালো একটা ঘটনা ছাড়া। ৩০ শতাংশ ভোট হয়েছে। দিন শেষে ৪০ শতাংশ হবে। বরিশালে র্যাব বিজিবিসহ সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে, যাতে করে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে।
বরিশালে হাত পাখা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়জুল করীমের ওপর ভোটকেন্দ্রে হামলার ঘটনা ঘটে। কেন্দ্রে পরিদর্শনকালে নৌকা প্রতীকের কর্মীরা তাকে মেরে রক্তাক্ত করেছেন বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের এই মেয়রপ্রার্থী।
ফয়জুল করিম বলেন, ছাবেরা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথার কাছে এলে ৩০ থেকে ৪০ জন নৌকা-সমর্থক ব্যক্তি তার ওপর অতর্কিত হামলা চালান। হামলাকারীরা লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল ব্যবহার করেন। হামলায় তিনিসহ তাঁর সঙ্গে থাকা বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হন।
এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীরা। সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে এয়ারপোর্ট থানার কাশিপুর এলাকায় তারা বিক্ষোভ করেন।
মন্তব্য