টিলাগড়ে ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে খুন

সিলেট নগরের টিলাগড়ে ক্ষমতাসীন দলের গ্রুপিংয়ের বলি হলেন আরিফ হাসান (১৯) নামের এক যুবক। পূর্ব বিরোধের জেরে রাতের আধারে তাকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়েছে।

 সোমবার (২০ নভেম্বর) রাত পৌনে ১২টার দিকে নগরের শাহী ঈদগাহ টিভি গেইটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

 নিহত আরিফ হাসান নগরের শাহী ঈদগাহ টিভি গেইট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রঞ্জিত সরকার গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাকে একা পেয়ে সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের ৩৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপের কর্মী সমর্থকরা কুপিয়ে খুন করেছে, বলে অভিযোগ ওঠেছে।

 স্থানীয় সূত্র জানায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে সাবেক জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও বর্তমান কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপের কর্মী জুনায়েদ (২০), আনাস (২০), রবি (২১), হেলাল (২৭), সাকিব (২০), মামুন (২৮)সহ অজ্ঞাতরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আরিফের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এসময় আরিফকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত মৃত্যেু নিশ্চিত ভেবে সড়কে ফেলে রেখে যায়। হামলাকারীরা তার বাম হাত, বাম উরু, পাসহ দেহের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ১২টি আঘাত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসকরা তাকে বাঁচাতে প্রাণান্তর চেষ্টা করেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে রাত ১টার দিকে আরিফ মারা যান।ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্য বলরাম মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।  এদিকে, আরিফের মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে ভীড় করেন তার গ্রুপের কর্মী সমর্থকরা।খবর পেয়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পদস্থরা হাসপাতালে উপস্থিত হন। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলেও পুলিশ জানায়।

 এ বিষয়ে জানতে এসএমপির শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়েরকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 উল্লেখ্য, বিগত বছরগুলোতেও টিলাগড় কেন্দ্রীক ক্ষমতাসীন দলের গ্রুপিং কোন্দলে হাফ ডজনের বেশি যুবক খুনের ঘটনা ঘটে। এর পূণরাবৃত্তি ঘটলো আবারো।