কপাল মন্দ

সময়টা একদমই যেন অনুকূলে নেই চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির। গত দুই বছরে সিনেমার কাজ কমিয়ে দিয়েছেন। মনোযোগী হয়েছেন রাজনীতিতে। নিজ এলাকা চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনেকবার গণসংযোগ করতে দেখা গেছে এ নায়িকাকে। কিন্তু সিনেমার ক্যারিয়ারে সফল হলেও রাজনীতির কপাল যেন বেশ মন্দ এ নায়িকার। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি মাহিয়া মাহি। এর আগে একই আসনে একাদশ সংসদ নির্বাচনের উপনির্বাচনেও মনোনয়ন নেয়ার চেষ্টা করেন তিনি। সেটাও মেলেনি। এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে রাজশাহী-১ থেকে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন এ নায়িকা। কিন্বাতিল হয়েছে তার মনোনয়নপত্র। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী আসনের মোট ভোটারের ১ শতাংশের স্বাক্ষর লাগে। মাহির মনোনয়নপত্রে ৩ জন ভোটারের নমুনা পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া একজন ভোটারের ঠিকানা ভুল দেয়া আছে। ওই ভোটার চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার বাসিন্দা। কিন্তু তার ঠিকানা রাজশাহীর তানোর উল্লেখ করা হয়েছে। এদিকে এমন খবর মাহির কানে পৌঁছেছে শনিবার রাতেই। সে কারণেই রাতে তিনি সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, যেটা খবর পেলাম সেটা যদি সত্যি হয় তাহলে আপনার কপালে খারাপ আছে বলে দিলাম। যুদ্ধ ঘোষণা হবে কালকে। এদিকে রোববার সকালে মনোনেয়ন বাতিলের ঘোষণার বিপরীতে মাহি নিজের প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছেন সামাজিক মাধ্যমের পাতায়। গতকাল তিনি লিখেছেন, ‘জেদ’ একটা মারাত্মক ম্যাজিকাল জিনিস। আপনি চিন্তাও করতে পারবেন না একটা মানুষের পজেটিভ জেদ ওই মানুষটাকে দিয়ে কী কী করাতে পারে। আপনি কাউকে একবার খাবার নিয়ে খোটা দিন, দেখবেন পরবর্তীতে সে না খেয়ে থাকছে কিন্তু আপনার কাছে কখনোই খাবার চাচ্ছে না। আপনি কাউকে কোনো একটা নির্দিষ্ট স্থানে অপমানিত করুন, দেখবেন বেশির ভাগ মানুষই সেই জায়গাটায় আর ফিরে যাচ্ছে না। টাকা নিয়ে খোটা খাওয়া মানুষ একদিন টাকার পাহাড় দাঁড় করিয়ে দেয়। যোগ্যতা নিয়ে খোটা শোনা মানুষ একদিন অভূতপূর্ব যোগ্যতার সহিত ফিরে আসে। সকল মানুষের জেদ থাকা উচিত। তবে সেটা পজেটিভ জেদ। সেটা একটা নির্দিষ্ট কাউকে দেখিয়ে দেয়ার জেদ। আমিও করতে পারি, এটা প্রমাণ করার জেদ। তিনি মানবজমিনকে জানান, মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও আবার আপিল করবেন তিনি। সেই আপিলে মনোনয়নপত্র ফিরে পাবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন।