দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জন্য নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফশিলের বৈধতা নিয়ে রিটের আদেশের জন্য আগামীকাল সোমবার পুনরায় দিন ধার্য করেছেন হাইকোরআজ রোববার রিটকারী আইনজীবীর সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউনুস আলী আকন্দ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। তাকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
এর আগে বর্তমানে জাতীয় সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফশিল ও ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। গত ২৯ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট দায়ের করেন।
রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়।
গত ২৮ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৪ পেছানোর দাবি জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন পেছানোর সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করা হয় নোটিশে।
ভোটগ্রহণের ৫২ দিন আগে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ১৫ নভেম্বর ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী ভোট হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।
পরে আইনজীবী জানান, ঘোষিত তফশিল পেছানোর জন্য নোটিশে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বড় রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অনুপস্থিত রয়েছে। যদি তারা নির্বাচনে আসতে চায় তাহলে সেক্ষেত্রে আমাদের নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া উচিত। এ ছাড়া নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশিদের চাপ রয়েছে।
নোটিশটি বিএনপির পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না, বিএনপির পক্ষ থেকে নয়, জনস্বার্থে এই নোটিশ পঠিয়েছি। এখন দেশে হরতাল-অবরোধ চলছে, মানুষের জানমালের ক্ষতি হচ্ছে। সব দিক বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচন পেছানোর দাবিতে নোটিশ পাঠিয়েছি।’
ইসির ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচন হবে। তফশিল অনুযায়ী, সংসদ নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর।
মন্তব্য