গণতন্ত্র ও জনগণের বিজয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অঙ্গীকার করেছেন, জনগণের রায়ের মাধ্যমে তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা অব্যাহত থাকবে। গতকাল নতুন মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে রাখা দর্শনার্থী বইয়ে স্বাক্ষর করার সময় লিখেছেন, ‘আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির পথে বাংলাদেশের যাত্রা অব্যাহত থাকবে।’ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত ‘সোনার বাংলা’ গড়ার অঙ্গীকারও ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি আরও লিখেছেন, ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের ভোটে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়েছে। এই বিজয় জনগণের বিজয় এবং গণতন্ত্রেরও বিজয়। রেকর্ড পঞ্চম মেয়াদে এবং পরপর চতুর্থবারের মতো সরকার গঠনের শপথ নেয়ার একদিন পর গতকাল সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী তার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে রক্ষিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা। বৃহস্পতিবার (১১ই জানুয়ারি) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিজয়ী আওয়ামী লীগ সরকারের নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। এদিন সন্ধ্যা ৭টায় নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। নিয়ম অনুযায়ী প্রথমে প্রধানমন্ত্রী, পরে পর্যায়ক্রমে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা শপথ নেন।শপথ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীসহ ২৫ জন পূর্ণ মন্ত্রী এবং ১১ জন প্রতিমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গত ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২২টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, স্বতন্ত্র ৬২ এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) একটি করে আসন পায়। এছাড়া একটি আসনে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। একটি আসনে ভোট বাতিল ও আরেকটি আসনে ভোট স্থগিত করা হয়।