নন্দিত সিলেট:: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কিশোরী ধর্ষনকারী দুইজনকে বৃহস্পতিবার জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এই চাঞ্চল্যকর ধর্ষন ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই লুৎফুর রহমান জানিয়েছেন, তারা দুজনেই ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্র্যাটের কাছে ১৬১ ধারা মোতাবেক জবানবন্দি দিয়েছে।
চার নরপশুর পাশবিক নির্যাতনের শিকার ১৪ বছরের কিশোরী গুরুতর অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এ ঘটনায় জগন্নাথপুর থানায় ধর্ষিতার পিতা বাদী হয়ে ধর্ষন মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার বিকেলে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে জগন্নাথপুর পৌর এলাকার ইকড়ছই গ্রামের মিনিবাস চালক আইনুল হক ও বাসস্ট্যান্ড ম্যানেজার বুরহান উদ্দিনকে জগন্নাথপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথ উপজেলার ফেনারগাঁও গ্রামের চেরাগ আলীর মেয়ে (১৪) মা ও বড় বোনের সাথে রাগ করে বাড়ি থেকে মঙ্গলবার দুপুরে বের হয়ে মিনিবাসে উঠে জগন্নাথপুর উপজেলা সদরে নামে। পরে রিকশায় করে উপজেলার কলকলিয়াতে ফুফুর বাড়ীর যাওয়ার উদ্দেশ্যে সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যায়। সেখানে দীর্ঘক্ষন একটি দোকানের সামনে বসে থাকতে দেখে দোকান মালিক মেয়েটির বাড়ি কোথায় জানতে চাইলে মেয়েটি রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে এসেছে বলে জানায়। পরে দোকান মালিক মেয়েটির মাকে ফোন দিলে তিনি মেয়েটিকে গাড়িতে তুলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার অনুরোধ করেন। এসময় দোকানে থাকা মিনিবাস চালক আইনুল হক মেয়েটিকে বিশ্বনাথের গাড়িতে তুলে দেয়ার কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে যায়।
মিনিবাস চালক মেয়েটিকে গাড়িতে তুলে না দিয়ে বাসস্ট্যান্ডের ম্যানেজার বুরহান উদ্দিনের জগন্নাথপুর গ্রামের জিতু মিয়ার কলোনীর ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে সারারাত জোরপ‚র্বক মেয়েটিকে তাদের আরো দুই সহযোগীসহ চারজন মিলে ধর্ষণ করে। পরদিন বুধবার সকালে মেয়েটি রক্তাক্ত অবস্থায় জগন্নাথপুর থানায় এসে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পুলিশ তাৎক্ষনিকভাবে পৌরশহরে অভিযান চালিয়ে দুইজনকে গ্রেফতার করে।
জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) নব গোপাল দাশ বলেন, ধর্ষিতা কিশোরী মেয়েটিকে চিকিৎসা ও ডাক্তারি রিপোর্টের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
মন্তব্য