জগন্নাথপুর প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানায় চাঞ্চল্যকর হত্যার আসামী, মাদক ব্যবসায়ী ও ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার বাউরকাপন গ্রামের মৃত তেরাছন আলীর ছেলে নাজমুল হক (২৭) ও নজির মিয়া (৩৫), নুরবালা গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে জাফরান মিয়া, দিঘলবাগ (আটঘর) গ্রামের নিজার উদ্দিনের ছেলে জিতু মিয়া।
জগন্নাথপুর পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ চৌধুরী এর দিক নির্দেশনায় অত্র থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই হাবিবুর রহমান(১) এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাদক দ্রব্য উদ্ধার অভিযানে দুই মাদক ব্যবসায়ী নাজমুল হক (২৭), নজির মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেন।
এদিকে এসআই (নিঃ) মো. গোলাম ফাত্তাহ মুর্শেদ চৌধুরী এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ননজিআর-১৫/১৮ এর এর ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী জাফরান মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন।
এ ছাড়াও এসআই আতিকুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ জগন্নাথপুর উপজেলার চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী যার মামলা নং-০৩, জিআর-১৩২/১৮ এর আসামী জিতু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের শুক্রবার (৯ নভেম্বর) সুনামগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আশারকান্দি ইউনিয়নের দিঘলবাগ (আটঘর) গ্রামের মৃত মদরিছ আলীর ছেলে শাহজাহান আলী (৩২) কে অপহরন পূর্বক হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত মুল হোতা ইউনুছ উল্লার ছেলে আল আমিন লিটন (৩৬) গ্রেপ্তারের পর তথ্য বের হয়ে আসে। শাহজাহান আলীর স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি থেকে জানা যায়, লিটন, সুহিন, ফুরুখ সহ আরো ৬ থেকে ৭ জন ইঞ্জিন চালিত নৌকা যোগে শাহজানকে নারীর প্রতি প্রলোভন দেখিয়ে উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নে রৌয়াইল গ্রামে লিটনের নানা বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে সহযোগী আসামীদের সহায়তায় শাহজানকে চায়ের সাথে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে পান করিয়ে দূর্বল করে এবং রশি দ্বারা গলায় শ্বাস রোধ করে হত্যা করে লাশ পার্শ্ববর্তী কুশিয়ারা নদীতে ফেলে দেয়া হয়।
হত্যা মামলার আসামী আল আমিন লিটন গ্রেপ্তারের পর গত বৃহস্পতিবার জিতু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মন্তব্য