কোম্পানীগঞ্জ থেকে অপহৃত শিশু কানাইঘাটে উদ্ধার, গ্রেপ্তার ১

কানাইঘাট প্রতিনিধি : সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ টুকের বাজার থেকে অপহরণের ১ দিন পর ৩ বছরের এক শিশুকে কানাইঘাট থেকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব । এসময় আটক করা হয়েছে অপহরণকারীকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে কানাইঘাট উপজেলার ঝিংগাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিনের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া শিশু আবুল কাশেমের স্বজনরা জানান, গত বুধবার (৪এপ্রিল) বিকাল ৪টায় কোম্পানীগঞ্জ টুকের বাজার নিজ বাড়ি থেকে হঠাৎ করে নিখোঁজ হয় আবুল কাশেম। পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে সন্ধান না পেয়ে আবুল কাশেমের বাবা আব্দুল জলিল কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের পরামর্শে ছেলে অপহরণের বিষয়টি সিলেট র‌্যাব-৯ কে জানায় তার বাবা-মা। পরবর্তীতে অভিযানে নামে র‌্যাব। একপর্যায়ে অপহরণকারী আব্দুল্লাহ\'র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কানাইঘাট উপজেলার ৮নং ঝিংগাবাড়ী ইউনিয়নের আগতালুক গ্রামের তার বাড়ী থেকে ঝিংগাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন ও ওয়ার্ড সদস্য বদরুল ইসলামের সহযোগিতায় শিশু আবুল কাশেমকে উদ্ধার করে ঝিংগাবাড়ী ইউপি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অপহরণে জড়িত থাকার অভিযোগে আব্দুল্লাহকে আটক করে র‌্যাব। অপহরণকারী আব্দুল্লা জানায়, প্রায় ৩ মাস পূর্বে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার টুকের বাজারে অপহৃত শিশুর বাবা আব্দুল জলিলের বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে চাকরি নেয়। পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে কিছু দিন আগে চাকুরি ছেড়ে সে অন্য একটি ফ্যাক্টরিতে চলে যায়। আব্দুল্লাহ বলেন, ৮ হাজার টাকা মজুরি দিবে বলে চাকুরি দেয় আব্দুল জলিল, কিন্তু ৩ মাসে একটি টাকাও না পেয়ে চাকুরি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাই। সে আরো জানায়, তার ৩ মাসের বেতন ২৪ হাজার টাকা বার বার চাওয়ার পরও না পেয়ে বাধ্য হয়ে শিশু আবুল কাশেমকে অপহরণ করি। অপরদিকে আবুল কাশেমের পিতা আব্দুল জলিল জানান, পাওনা ৩৬শ টাকার কারণে আব্দুল্লাহ আমার শিশু পুত্রকে অপহরণ করে এবং মুক্তিপণ দাবী করে। এদিকে র‌্যাব-৯ সিলেট এর এএসপি আফজাল হোসেন জানান, অপহরণের পর শিশু আবুল কাশেমের বাবার কাছে ফোন করে দুই দফায় প্রথমে ৫ লাখ টাকা ও পরে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে আব্দুল্লাহ। আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারীর অবস্থান জেনে তাকে আমরা গ্রেফতার করতে সক্ষম হই।