নন্দিত সিলেট : ‘কন্যা জায়া জননী চায় ধর্ষকমুক্ত ধরনী’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ‘প্রতিবাদে প্রতিরোধে আমরা’ পরিচয়ে চলমান ৭ দিনব্যাপী টানা কার্যক্রমের চতুর্থ দিন ছিল আজ বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল)।
এদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় সিলেট কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের মুক্তমঞ্চে মৌন অবস্থান করেন সাধারণ জনগণ। সন্ধ্যা ৭টায় মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে মুক্তমঞ্চ থেকে আলোকমিছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন রজত কান্তি গুপ্ত, ইন্দ্রানী সেন সহ বিভিন্ন কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বাপ্পী কুমার মজুমদার, বর্ণা ব্যানার্জি, ফারহীন জাহান নুবা, ইমদাদুল হক, আনোয়ারুল ইসলাম ও রীমা দাসের পরিচালনায় এই অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন সাধারণ নাগরিকরা।
উদ্যোক্তারা জানান, ইভেন্টটির মূল দাবি- ধর্ষকের একমাত্র শাস্তি হবে মৃত্যুদণ্ড। তারা আরও জানান, জাতি, বর্ণ, গোষ্ঠী নির্বিশেষে তারা দাঁড়িয়েছেন এই প্রতিবাদ নিয়ে। ইভেন্টটির মূল শক্তি সাধারণ জনগণ ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। ৭ দিনব্যাপী তাদের নানান কার্যক্রমে থাকছে ধর্ষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সচেতনতার আহŸান।
এর আগে, গতকাল বুধবার তারা অডিটোরিয়াম মুক্তমঞ্চ প্রাঙ্গন থেকে ক্বীনব্রীজ পর্যন্ত মৌন মিছিল করেন। সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে মানববন্ধন এর মাধ্যমে শুরু হয় ধর্ষণের বিরুদ্ধে ৭ দিনব্যাপী এই প্রতিবাদ প্রতিরোধ কার্যক্রম। এতে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের মুক্তিযোদ্ধা, সংস্কৃতিকর্মী, চাকুরীজীবী সহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ ও সর্বস্তরের সাধারণ জনগণ। বিকাল ৩টা থেকে শুরু হওয়া শান্তিপূর্ণ এ মানববন্ধন শেষ হয় বিকাল ৫টায়।
পঞ্চম দিনের কর্মসূচি হিসেবে আগামীকাল শুক্রবার ধর্ষকের একমাত্র শাস্তি ফাঁসির দাবিতে এক প্রতীকী মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। মিছিলটি বিকাল সাড়ে ৩টায় সিলেট নগরীর কবি নজরুল অডিটেরিয়াম প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হবে।
মন্তব্য