হবিগঞ্জে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :  হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লুকড়া ইউনিয়নের বামকান্দি গ্রামে মারা যাওয়ার ৩ মাস পর সৌদি প্রবাসি আব্দুল মোতালিবের লাশ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাইমা খন্দকার ও কোর্ট স্টেশন পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ গোলাম কিবরিয়ার উপস্থিতিতে মোতালিবের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। পরে আরএমও বজুলর রহমান ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ময়না তদন্ত শেষে সন্ধ্যায় মোতালিবের পিতা লিয়াকত আলীর নিকট লাশ হস্তান্তর করা হয়। জানা যায়, ৮/৯ বছর আগে সদর উপজেলার লুকড়া ইউনিয়নের বামকান্দি গ্রামের লিয়াকত আলীর পুত্র আব্দুল মোত্তালিবের সাথে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয় লাখাই উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের জয়নাহার বেগমের। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই সন্তান জন্ম গ্রহণ করে। বিয়ের পর আব্দুল মোত্তালিব জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে চলে যান। সেখান থেকে সংসার খরচের জন্য সাধ্যমত টাকা পয়সা তার পরিবারে প্রেরণ করেন। বেশ কিছুদিন সৌদি আরব থাকার পর গত ২১ ফেব্র“য়ারি তার স্বামী টাকা পয়সা নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। গত ২৮ ফেব্র“য়ারী আব্দুল মোত্তালিব তার শ্বশুরবাড়ি লাখাই উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামে যান। ওইদিন রাতে তিনি রক্তচাপজনিত কারণে স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এ খবর শ্বশুর লিয়াকত আলীসহ অন্যান্যদের জানালে তারা এসে স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বারের উপস্থিতিতে অভিযোগ ছাড়াই লাশ বাড়ি নিয়ে দাফন কাফন করেন। এদিকে, মোত্তালিবের মৃত্যুর এক মাস ১০ দিন পর তার স্ত্রী জয়নাহারসহ তার আত্মীয় স্বজনসহ ১৯ জনকে আসামী করে হবিগঞ্জ আদালতে মামলা করেন নিহতের পিতা লিয়াকত আলী। এর প্রেক্ষিতে পুণ ময়না তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হলেআদালতের নির্দেশে ফের লাশ উত্তোলন করা হয়। এ ব্যাপারে ডাঃ বজলুর রহমান জানান, লাশের বিজারা রিপোর্টের পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য আগামীকাল শনিবার ঢাকা মহাখালীতে প্রেরণ করা হবে। রিপোর্ট আসার পর হত্যা না স্বাভাবিত মৃত্যু তার জানা যাবে।