হবিগঞ্জে জামাতার গলা কেটে হত্যা, শশুর-শাশুরি আটক

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :: হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সঙ্গিরঘাটে জামাতাকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ বস্তায়ভরে হাওরে ফেলে দিয়েছে শশুর বাড়ির লোকজন। শনিবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে রওয়ানা দেয়। এ ঘটনায় ঘাতক শশুর ও শাশুড়িতে আটক করেছে পুলিশ। জানা যায়, ৫ বছর আগে হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগর এলাকার আকল মিয়ার ছেলে কাউছার মিয়ার সাথে সদর উপজেলার টঙ্গিরঘাট গ্রামের মকিসুদ মিয়ার মেয়ে শেখ বানুর বিয়ে হয়। তাদের সাংসারিক জীবনে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। পবিত্র আশুরার আগে নিহতের স্ত্রী শেখ বানু বাবার বাড়ি বেড়াতে যান। গত সোমবার সন্ধায় স্ত্রীকে আনার জন্য শশুর বাড়িতে যান কাউছার মিয়া। শুক্রবার সকালে শেখ বানু শশুর বাড়িতে একা একা ফিরেন। এ সময় শশুর বাড়ির লোকজন শেখ বানুর কাছে কাউছার মিয়ার কথা জিজ্ঞেস করলে সে জানান, কাউছার তাকে বাড়ির পাশে নামিয়ে দিয়ে বাজারে গেছে। শুক্রবার সারারাত বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করে না পেয়ে অবশেষে তার বাবা আকল মিয়া হবিগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার সকালে সদর থানা পুলিশ কাউছারের শশুর বাড়িতে গিয়ে শশুর-শাশুড়িকে আটক করে। পরে শশুর মূল ঘটনার বর্ণনা দেয়। কাউছার মিয়ার শশুর মকসুদ মিয়া পুলিশকে জানান- সোমবার সন্ধায় জামাতা কাউছার শশুর বাড়িতে যায়। রাতে সে আত্মহত্যা করে। বিষয়টি নিয়ে মাকসুদ মিয়া তার চাচা কাদির মিয়ার সাথে পরামর্শ করেন। তিনি তাকে জামাতার গলা কেটে লাশ বস্তায় ভরে হাওরে ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দেন। চাচার কথামতো মঙ্গলবার ভোররাতে সবাই মিলে কাউছারের গলা কেটে নবীগঞ্জ উপজেলার রওয়াইল গ্রামের পাশে হাওরে লাশ ফেলে আসে। সদর থানার ওসি (তদন্ত) মো. জিয়া জানান- পুলিশ লাশ উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে রয়েছে। সেই সাথে শশুর ও শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পর তদন্ত করে বিস্তারিত জানা যাবে।