সহজ ম্যাচ কঠিন করে জিতলো বাংলাদেশ

বোলাররা জয়ের মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছিলেন। ব্যাটিংয়েও শুরুটা খারাপ হয়নি। কিন্তু হঠাৎই পেয়ে বসে শঙ্কা। ১০২ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে কি হেরে বসবে টাইগার যুবারা? সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ছোট্ট পুঁজি নিয়েও স্বাগতিকদের বিপদে ফেলে দিয়েছিল আফগানিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তবে শেষ হাসি হেসেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরাই। সহজ ম্যাচ কঠিন করে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ, হাতে ছিল ১৬১ বল।এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ ১৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার)।এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ ১৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার)। আফগান বোলারদের তোপে একের পর এক ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরতে থাকেন, ১৩ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ২ উইকেটে ৭০ থেকে ৬ উইকেটে পরিণত হয় ৮৩ রানে, পেয়ে বসে হারের শঙ্কা। তবে আইচ মোল্লা দায়িত্বশীল ইনিংসে ম্যাচ শেষ করেই এসেছেন। ২৬ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন এই ব্যাটসম্যান। সঙ্গে ৬ বলে ৬ রান নিয়ে বিজয়ীর বেশে মাঠ ছাড়েন লোয়ার অর্ডারের রিপন মন্ডল। টাইগার যুবাদের বিপদে ফেলার মূল নায়ক ছিলেন ইজহারুল হক নাভিদ। ২৯ রানে ৪টি উইকেট শিকার করেন আফগান এই স্পিনার। ৩০ রানে ৩টি নেন শহিদুল্লাহ হাসানি।এর আগে বাঁহাতি স্পিনার নাইমুর রহমানের ঘূর্ণিতে ৪২.৩ ওভারে ১০১ রানেই অলআউট হয়ে যায় টস জিতে ব্যাট করতে নামা আফগানিস্তান। ব্যাটিংয়ে অবশ্য অনেকটা বাংলাদেশের দশাই হয়েছিল আফগানদের। একটা সময় ৩ উইকেটেই ছিল ৬৪ রান। সেখান থেকে ৩৭ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় সফরকারিরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন ওপেনার সাবাউন বানুরির। কামরান হোটাক ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন ৭৬ বল খেলে। টাইগার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল নাইমুর। বাঁহাতি এই স্পিনার ১০ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচায় নেন ৪টি উইকেট। বোলিং ফিগার ১০-৪-১৪-৪! এছাড়া গোলাম কিবরিয়া দুটি, রিপন মন্ডল এবং এসএম মেহরাব নেন একটি করে উইকেট।