সাতছড়িতে ১৫ মর্টারশেল ধ্বংস, মামলা

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ির বন থেকে উদ্ধার হওয়া ১৫ মর্টারশেল ধ্বংস করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বোম ডিসপোজাল টিমের প্রধান এডিসি মো. রহমত আলীর নেতৃত্বে উপজেলার চণ্ডিছড়া চা বাগানের খেলার মাঠে ওই মটারশেলগুলো ধ্বংস করা হয়। এ সময় বিকট শব্দে স্থানীয় এলাকা প্রকম্পিত হয়।

এদিকে উদ্ধারকৃত ৫১০ রাউন্ড গুলি চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে কাউন্টার টেররিজমের সাব-ইন্সপেক্টর মো. সাইফুর রহমান বাদী হয়ে আবেল ত্রিপুরাকে আসামি করে অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দুটি করেন।

২০১৪ সালের জুন মাস থেকে এ পর্যন্ত ৯ বার অস্ত্র উদ্ধার হলেও এবারই প্রথম কাউকে আসামি করে মামলা করেন।

স্থানীয় জানান, সোমবার রাত ৮টায় মাঠে গর্ত করে বোমা ডিসপোজাল টিম যখন একে একে ৯টি মর্টারশেল ধ্বংস করছিলন, তখন উচ্চশব্দ শুনে চা বাগানের বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।

এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি (তদন্ত) চম্পক দাম জানান, আটক আবেল ত্রিপুরাকে অস্ত্রসহ আটকের ঘটনায় ঢাকা মহানগর কাউন্টার টেররিজম ইউনিট যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করে। চুনারুঘাট থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করা হয়। ওই মামলাটি আমি নিজেই তদন্ত করছি।

তিনি আরও বলেন, উদ্ধার হওয়া গুলি থানায় জমা রয়েছে।

ঢাকা মহানগর কাউন্টার টেররিজম ইউনিট গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে যাত্রাবাড়ী থেকে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ আবেল ত্রিপুরাকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে সোমবার ভোররাত থেকে চুনারুঘাটের সাতছড়ির গভীর অরণ্যে চারটি গর্ত থেকে সেনাবাহিনীর ব্যবহৃত ১৫ মর্টারশেল, ২৫ গ্রেনেট বোস্টার, ৫১০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।