হবিগঞ্জে ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাতে ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শিক্ষক মুমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এদিকে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত শিক্ষক আত্মগোপনে রয়েছেন।

বিয়ষটি নিশ্চিত করে লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুল ইসলাম জানান, ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শিক্ষক মুমিনুরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি তদন্তাধিন আছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, শ্লীলতাহানির শিকার ওই ছাত্রী লাখাই উপজেলার বামৈ সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মুমিনুল হক অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় ওই ছাত্রীর প্রতি কুনজর দেন। প্রায় সময়ই তিনি বিভিন্নভাবে তাকে উত্ত্যক্ত করতেন। গত ১৬ মার্চ সকালে স্কুলের প্রাত্যহিক সমাবেশ (অ্যাসেম্বলি) শুরু হলে ওই ছাত্রী শারীরিক অসুস্থতা বোধ করায় অ্যাসেম্বলিতে না গিয়ে স্কুল ভবনের তৃতীয়তলায় শ্রেণিকক্ষে বসেছিলেন।

এ সময় সহকারী শিক্ষক মো. মুমিনুল হক গিয়ে অন্য শিক্ষার্থীদের বের করে দিয়ে ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। এ সময় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন এবং আয়া গৌড়ী সেখানে গেলে মুমিনুল তরিঘরি করে নিচে নেমে পড়েন। পরবর্তীতে তিনি আবারও ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তখন ওই ছাত্রী চিৎকার শুরু করলে মুমিনুল হক তার মুখ চেপে ধরেন।

এ সময় ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল করিমসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে এলে মুমিনুল ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দিয়ে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর ওই ছাত্রী আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন বলে দাবি করেন তার বাবা। বিষয়টি তাৎক্ষণিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ চৌধুরীকে অবহিত করা হয়।

এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত ও তার বিচার দাবিতে বুধবার হবিগঞ্জ-লাখাই-সড়াইল-নাসিরনগর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শরীফ উদ্দিন। তিনি তাৎক্ষণিক তাকে সাময়িক বরখাস্তের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।