মাধবপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাইকে ঘোষানা দিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক চেয়ারম্যানের দু’পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ ও দোকান-পাট ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে নারী, ইউপি সদস্যসহ কমপক্ষে ২০জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে মাধবপুর থানা, মনতলা তদন্ত কেন্দ্র ও কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

গুরুতর আহত ইউপি সদস্য ফয়সল মিয়া(৩৫),রাষ্টু মিয়া(৩০) ফারুক মিয়া(৩০) ফিরোজ মিয়া(৩০) আউয়াল মিয়া(৩৫) কালা মিয়া(৭২) আব্দুল খালেক (৪০) আমেনা খাতুন(৫৫) জুয়েল মিয়া(৩০) শাহেদ মিয়া(৩০)কে আহতদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়- হবিগঞ্জের মাধবপুরে মনতলা সরকারি শাহজালাল কলেজে মাঠে আফজলপুর ও ঘিলাতলী গ্রামের ছাত্র ও বহিরাগতদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। এসময় বহরা ইউ/পি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিনের ছেলে কৌশিক বিষয়টি মিমাংসা করে দেয়। কিন্তু এতে ঘিলাতলী গ্রামের লোকজন খুশী হয়নি। বুধবার বিকালে এ নিয়ে আবার শালিস বৈঠক বসে। এ সময় ঘিলাতলী গ্রামের নয়ন মিয়া উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তাকে নিবৃত্ত করতে চেয়ারম্যানের ছেলে কৌশিক নয়নকে চর মারে।

এ খবর পেয়ে চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রী রাতেই নয়নের বাড়ীতে গিয়ে এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এবং পারিবারিক ভাবে বিষয়টি মিমাংসা হয়। অপর দিকে নয়ন মিয়া সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুর রহমানের লোক দাবি করে তার ভাই আনিছুর রহমান বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মনতলা বাজারের কলেজ রোডে আফজলপুর গ্রামের করিম হোসেনের প্লাস পয়েন্ট কাপড়ের দোকানে হামলা করে তার কর্মচারি সাহেদ মিয়াকে মারধোর ও দোকান ভাংচুর করে। পরে কলেজ রোডে অবস্থিত বহরা ইউপি চেয়ারম্যান কার্যালয়ে প্রবেশের চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাদের ফিরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় বহরা ইউ/পি সদস্য শ্রীধরপুর গ্রামের ফয়সল মিয়াকে মারধোর করে। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে মাইকে ঘোষনা দিয়ে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় মনতলা বাজারের ব্যবসায়ীরা ভয়ে দোকান-পাট বন্ধ করে দিক-বেদিক ছুটাছুটি করতে থাকে।

খবর পেয়ে মাধবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে থান, মনতলা তদন্ত কেন্দ্র ও কাশিমনগর পুলিশ ফাঁড়ির বিপুল সংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

থানার ওসি তদন্ত গোলাম কিবরিয়া হাসান জানান- বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।