হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে সর্দার নিয়োগ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। সংঘর্ষ চলাকালে ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি শান্ত করে।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার সৈদরটুলা মহল্লায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
বানিয়াচং থানার ওসি মোহাম্মদ এমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলা সদরের সৈদরটুলা ছান্দের সর্দার নিয়োগ নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া এবং অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলামের পক্ষের লোকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি করার ঘটনায় ধন মিয়াকে আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে। তাকে পাওয়া যায়নি।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট ও টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। তবে তা কত পরিমাণ তা এখনো হিসাব করা সম্ভব হয়নি।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, উপজেলা সদরের সৈদরটুলা ছান্দের অধীন ৭টি মহল্লা রয়েছে। এ ছান্দের বেশ জমি ও জলমহাল রয়েছে। আছে লক্ষ্মিবাউড় জলাবনও। এখানে অর্ধশতাধিক জলমহাল, ধানের জমি রয়েছে। যা থেকে বছরে অন্তত ২ থেকে আড়াই কোটি টাকা আয় হয়। তাই এর সর্দার হওয়া নিয়ে অনেকেরই বেশ আগ্রহ থাকে।
ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এ ছান্দের সর্দার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন। এলাকাবাসী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলামকে সম্প্রতি সর্দার নিয়োগের জন্য বলেন। কিন্তু ধন মিয়া সর্দার নিয়োগে বিরোধিতা করেন। এ নিয়ে দুইপক্ষই প্রতিপক্ষের লোকজনকে বহিষ্কার করে।
এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় তারা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া নিজের বন্দুক দিয়ে প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েন।
মন্তব্য