নাঈমের পর তামিম-জয়ের ব্যাটে দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশের

নাঈম হাসানের পর তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। নাঈমের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের পর দুই টাইগার ওপেনারের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে স্বস্তিতে দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে নাঈমের ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৩৯৭ রানে অলআউট হয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ১৯৯ রান করেন ম্যাথুস। এরপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম-জয় বিনা উইকেটে ৭৬ রান যোগ করে দিন শেষ করেন।

চট্টগ্রামে দ্বিতীয় দিন সকালে আগের দিনের ৪ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে লঙ্কান দুই ব্যাটসম্যান দিনেশ চান্ডিমাল ও ম্যাথুস। এই দুই ব্যাটসম্যান পঞ্চম উইকেটে ১৩৬ রানের জুটি গড়েন।

চান্ডিমালকে ফিরিয়ে জুটিটি ভাঙেন নাঈম। নিজের অর্ধশতক পূর্ণ করে ব্যক্তিগত ৬৬ রান করে ফেরেন এই লঙ্কান। এরপর ৯ রানের মধ্যে আরও তিন উইকেট হারায় সফরকারীরা। যার মধ্যে একটি নাঈম ও দুটি শিকার করেন সাকিব আল হাসান।

এক প্রান্তে উইকেট হারালেও ম্যাথুস দারুণভাবে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। শেষ দুই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে ৬৯ রান যোগ করেন তিনি। নিজের দেড় শ পূরণ করে এগোতে থাকেন দুই শ’র দিকে। তবে নাঈম হাসানের ঘূর্ণিতে ১ রানের আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।

১৯৯ রান করা ম্যাথুসকে ফিরিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার অর্জন করেন নাঈম। তার আগে আসিথা ফার্নান্দোকে ফিরিয়ে আট টেস্টের ক্যারিয়ারে তৃতীয় ফাইফার পূর্ণ করেন এই ক্রিকেটার। নাঈম ১০৫ রানে নেন ৬ উইকেট। এ ছাড়া সাকিব ৬০ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন।

এরপর নিজেদে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমে সাবধানী ক্রিকেট খেলতে থাকেন তামিম ও জয়। যদিও ব্যক্তিগত ২ রানের মাথায় আসিথার বলে স্লিপে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন জয়। তবে সেটি ছিল আবার নো বল। এরপর টাইগার দুই ব্যাটসম্যান আর কোনো সুযোগই দেননি লঙ্কানদের। বাকি সময় দেখেশুনে খেলতে থাকা তামিম ও জয় সময়ের সঙ্গে মাঠে সেট হয়ে পড়েন।

এরপর ওয়ানডে গতিতেই রান উঠতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ১৯ ওভারে বিনা উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে দিন শেষ করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। তামিম ৩৫ ও জয় ৩১ রান নিয়ে তৃতীয় দিন সকাল শুরু করবেন।