আর কিছুদিন পরেই ছিল মেয়ের বিয়ে। স্বজনদের সে দাওয়াত পৌঁছাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু বিধিবাম। দাওয়াত দিয়ে ফেরার পথে নৌকাডুবিতে মারা যান কনের মা জরিনা বেগমসহ ৪ জন। বিয়ের আনন্দের পরিবর্তে পরিবারটিতে এখন চলছে শোকের মাতম। তাদের শোকে মোহ্যমান পুরো শিকারপুর গ্রাম। বৃহস্পতিবার দুপুরে নামাজে জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হয়।
তেঘরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এমএ মোতালিব জানান, আগামী ২১ জুলাই হবিগঞ্জ সদর উপজেলার শিকারপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের মেয়ের বিয়ের দিন ধার্য্য ছিল। তার স্ত্রী জরিনা বেগমসহ কয়েকজন স্বজনকে নিয়ে বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামে আত্মীয়দের দাওয়াত দিয়ে গিয়েছিলেন। নৌকাযোগে ফেরার পথে বুধবার রাতে হাওড়ে নৌকা ডুবে ৪ জন নিহত হন। বৃহস্পতিবার বাদ জোহর নামাজে জানাজা শেষে তাদের দাফন সম্পন্ন করা হয়।
শিকারপুর গ্রামের বসিন্দা সোহেল মিয়া জানান, আব্দুল হামিদের ৫ মেয়ে। এর মধ্যে ফাতেমা বেগম (২১) সবার বড়। ২১ জুলাই তার বিয়ের দিন ধার্য্য ছিল। শায়েস্তাগঞ্জে তাকে বিয়ে দেওয়ার জন্য পাকাপাকি হয়। বিয়ের সব আয়োজন প্রায় শেষ। দাওয়াতও দেওয়া শেষ পর্যায়ে ছিল। বুধবার তারা স্নানঘাটে তাদের আত্মীয়দের দাওয়াত দিয়ে ফেরা সময় বাহুবলের রউয়াইল হাওড়ে নৌকাটি ডুবে গেলে একই পরিবারের ৪ জন মারা যান।
নিহতরা হচ্ছেন- কনের মা জরিনা বেগম, তার চাচি শাশুড়ি সরাফত উল্লাহর স্ত্রী নেলি বেগম ওরফে চান বানু, ননদ রওশন উল্লাহর স্ত্রী হুরবানু ও কবির মিয়ার স্ত্রী আয়াতুন্নেছা। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের মাতম চলছে। বিয়েটাই এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
মন্তব্য