সৌদি আরবে মালিক ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্যাতনের শিকার হবিগঞ্জের এক তরুণী দেশে ফেরার আকুতি জানিয়েছেন। সম্প্রতি ভিডিও কলের মাধ্যমে পরিবারের কাছে তার এই আকুতি জানানোর ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক সাড়া ফেলে।
নির্যাতনের শিকার তরুণী শিল্পী আক্তার জেলার চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের তৈইগাঁওয়ের আবদুল মজিদের মেয়ে। ২০১৯ সালে সৌদি আরবে যান। সেখানে যাওয়ার পর ২০২১ সালে দেশে ফিরে আসার কথা থাকলেও তিনি আসতে পারেননি।
সম্প্রতি শিল্পী ভিডিও কলের মাধ্যমে তাকে নির্যাতনের কথা জানিয়েছে প্রাণভিক্ষার জন্য দেশে অবস্থানরত মা-বাবার কাছে আকুতি জানায়। এমন ভিডিও দেখে তার মা-বাবা অসহায় হয়ে পড়ে। তিনি তার মেয়েকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য এজেন্সির কাছে গেলেও কোনো লাভ হয়নি।
এ বিষয়ে শিল্পীর মা নূর চান বিবি জানান, ৩ বছর পূর্বে সৌদি আরবে যান তার মেয়ে। সেখানে যাওয়ার পর একটি বাসায় গৃহকর্মীর চাকরি পান। শিল্পী কাজে যোগ দেওয়ার পরই তার ওপর শুরু হয় নির্যাতন।
নূর চান বিবি বলেন, আমি আমার মেয়েকে ফিরে চাই। কিন্তু তারা আমার মেয়েকে দিচ্ছে না। ট্রাভেলসের লোকেরাও আমার মেয়েকে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করছে না। তাই বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, আমার মেয়েকে দেশে ফিরিয়ে এনে দিন।
এ ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক খালেদ হোসাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা মেয়েটিকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ে এক মাস আগে অভিযোগ দিয়েছি। আশা করি দ্রুত তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে পারব। তবে শিল্পী আক্তার সৌদি আরবের কোথায় কাজ করেন তারাও নিশ্চিত নন।
ইউএনও সিদ্ধার্থ ভৌমিক জানান, এ ব্যাপারে শিল্পীর পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ করা হয়নি। তারা লিখিত অভিযোগ দিলে দূতাবাসের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
মন্তব্য